রিওতে শুরু ব্রিকস সম্মেলন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতি সমালোচনার প্রস্তুতি

রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫ ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে আজ শুরু হচ্ছে ব্রিকস জোটের শীর্ষ সম্মেলন। উদীয়মান অর্থনীতির ১১ দেশের এই ফোরামে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও ভূরাজনীতি ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর বাণিজ্যনীতির সমালোচনা উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকরা। তবে মধ্যপ্রাচ্য সংকট, বিশেষত গাজা ও ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে সদস্যদেশগুলোর মধ্যে এখনো ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে না পারায় চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনিশ্চিত।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির ৪০ শতাংশ প্রতিনিধিত্বকারী ব্রিকস জোটে বর্তমানে সদস্য রাষ্ট্র ১১টি—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিসর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ব্রিকসসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, জোটের দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের 'অন্যায্য' আমদানি শুল্কের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হবে না, তথাপি রাজনৈতিকভাবে বার্তাটি ওয়াশিংটনের দিকেই ইঙ্গিত করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ব্রিকস পলিসি সেন্টারের পরিচালক মার্তা ফার্নান্দেজ বলেন, “এটি এমন এক সময়, যখন কূটনৈতিকভাবে খুব সতর্ক হয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিশেষ করে চীনের মতো দেশের জন্য বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর, কারণ তারা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক কমানো নিয়ে আলোচনায় বসেছে।”
তবে এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তাঁর পরিবর্তে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং প্রতিনিধিত্ব করবেন। এই অনুপস্থিতিকে অনেকেই ব্রিকসের রাজনৈতিক ভারসাম্যের দিক থেকে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন। একইভাবে সম্মেলনে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, যাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তিনি ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না। ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ সামলাতেই ব্যস্ত রয়েছে তেহরান।
১৩০ বার পড়া হয়েছে