সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত ইসরাইল: ট্রাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫ ১:১১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানিয়েছে ইসরাইল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যুদ্ধের স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

র্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক বার্তায় বলেন,

“আমার প্রতিনিধিরা আজ ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন। আলোচনার ভিত্তিতে ইসরাইল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে সম্মত হয়েছে। এই সময় আমরা একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করব।”

ট্রাম্প আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাতার ও মিশরের কূটনীতিকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি জানান, তারা এই প্রস্তাব হামাসের সামনে উপস্থাপন করবেন।

“আমার বিশ্বাস, হামাস যদি সত্যিই গাজার ভবিষ্যৎ চায়, তাহলে এই চুক্তি মেনে নেবে। কারণ এটি সেরা প্রস্তাব—এর চেয়ে ভালো কোনো প্রস্তাব আর আসবে না, বরং পরিণতি আরও ভয়াবহ হতে পারে,” মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

যদিও ট্রাম্প তার প্রতিনিধিদের নাম প্রকাশ করেননি, তবে জানা গেছে, বর্তমানে ইসরাইলের কৌশলগত বিষয়কমন্ত্রী রন ডার্মার যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানায়, মঙ্গলবার তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। এরপরই ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি বিষয়ে ইসরাইলের সম্মতির বিষয়টি ঘোষণা দেন।

গাজার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠন হামাস এর আগে জানায়, তারা যুদ্ধ শেষের চুক্তির আওতায় গাজায় অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

তবে ইসরাইলের অবস্থান স্পষ্ট তারা বলেছে, হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্র ও বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হবে না। হামাস ইতিমধ্যে অস্ত্রসমর্পণের শর্তে সাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা'র বলেন, “গাজায় জিম্মি চুক্তি ও যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরাইল আন্তরিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।” তিনি জানান, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সর্বশেষ প্রস্তাবের ব্যাপারে তেল আবিব ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।

উইটকফ শিগগিরই মিশরের রাজধানী কায়রো সফরে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। লক্ষ্য যুদ্ধবিরতির নতুন আলোচনায় গতি আনা এবং জিম্মি বিষয়ক সমঝোতায় পৌঁছানো। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ট্রাম্প প্রশাসন গাজায় যুদ্ধ থামাতে এবং চুক্তি চূড়ান্ত করতে ইসরাইলের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে।

ফক্স নিউজ জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ড’ বা চুক্তিতে আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার পথ সুগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সামনে একটি ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে। জেরুজালেম শান্তি চুক্তির লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের সেনা ও নাগরিকদের রক্তের বিনিময়ে মধ্যপ্রাচ্যের একটি নতুন বাস্তবতার জন্য কাজ করছি।”

তিনি আরও বলেন, ইসরাইল শান্তি ও স্বাভাবিকীকরণের বৃত্ত প্রসারিত করতে আগ্রহী, যাতে প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া ও লেবাননকেও এই উদ্যোগে সম্পৃক্ত করা যায়। একইসঙ্গে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

১৩২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন