সর্বশেষ

জাতীয়খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেয়া হতে পারে
জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি
অন্তর্বর্তী সরকার ইস্যু: হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখল আপিল বিভাগ
ইন্টারনেট বন্ধ ও গণহত্যা: ফরমাল চার্জ গ্রহণ, জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
বাম জোটের মিছিলে পুলিশের বাধা, লাঠিচার্জে আহত কয়েকজন
ভোরে কেঁপে উঠল রাজধানী, অল্পমাত্রার ভূমিকম্পে আতঙ্ক
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত, মেডিকেল টিমের পর্যবেক্ষণ অব্যাহত, শুক্রবার সারাদেশে প্রার্থনার আহ্বান সরকারের
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়ছে, উত্তরে তাপমাত্রা নামতে পারে ১০ ডিগ্রিতে : আবহাওয়া অফিস
সারাদেশপাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
সোনাপুরে বিআরটিসি ডিপোতে আগুন: দুই বাস পুড়ে ছাই
চারণকবি বিজয় সরকারের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আন্তর্জাতিকপুতিনের ভারত সফরের আগেই গুরুত্বপূর্ণ সামরিক চুক্তির অনুমোদন
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় দুই শিশুসহ সাত ফিলিস্তিনি নিহত
খেলারায়পুরে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ উইকেটে হেরে সিরিজে সমতা করেছে ভারত
জাতীয়

নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে দুর্বিষহ জীবন

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫ ৬:১৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ঈদের পর থেকেই রাজধানীসহ দেশের বাজারে চাল, আলু, পেঁয়াজ, সবজি ও সোনালি মুরগিসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম হঠাৎ করে লাফিয়ে বেড়েছে।

গত এক মাসেই এসব পণ্যের দাম খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৩৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, যা স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য নতুন সংকট তৈরি করেছে। আয় না বাড়ায় এই মূল্যবৃদ্ধি এখন জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলছে।

চালেই বাড়তি চাপ
বাজারে অস্থিতিশীলতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে চাল। খুচরা বাজারে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে এখন ৮২ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল ব্রি-২৮-এর দামও বেড়েছে ৩ থেকে ৭ শতাংশ, যা এখন মানভেদে ৬০–৬২ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিলগেটেই দামে বড় পরিবর্তন এসেছে।
তবে বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এটি চাহিদার চেয়ে বেশি মাত্রায় ধান মজুদের ফল। মিল মালিক ও করপোরেট ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে ধান মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন।

বাকিরাও বাড়তি খেলায়
শুধু চাল নয়, ঈদের পর আলুর দাম ২০ শতাংশ বেড়ে কেজি ৩০ টাকা হয়েছে। দেশি পেঁয়াজ এখন ৫৫–৬০ টাকা কেজি, যেখানে এক মাস আগেও তা ছিল ৫০ টাকার নিচে। টমেটোর মৌসুম শেষ হওয়ায় এর দাম দ্বিগুণের বেশি হয়ে ১০০–১৪০ টাকা কেজিতে পৌঁছেছে।

সবজির বাজারেও একই অবস্থা। করলা, বেগুন, বরবটি, পটোল—সবকিছুর দামই বেড়েছে ২৫–৪৫ শতাংশ। করলা ও বেগুন এখন কেজিপ্রতি ৮০–১০০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম বেড়ে হয়েছে ২৮০–৩২০ টাকা, যদিও ব্রয়লার মুরগির দাম একই রয়েছে (১৬০–১৭০ টাকা)।

ভোক্তার চাপ বাড়ছেই
প্রতিদিন বাজারে গিয়ে হতাশ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাজধানীর রামপুরা বাজারে এক ক্রেতা সাদিকুল ইসলাম বললেন, "ঈদের আগে মিনিকেট চালের বস্তা কিনেছিলাম ১,৮৭৫ টাকায়। এখন তা ২,১২৫ টাকা। অথচ আয় বাড়েনি। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।"

বাজারে কারসাজির অভিযোগ
কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান অভিযোগ করে বলেন, "এই মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কথা নয়। মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণেই দাম বেড়েছে। সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।"

একই দাবি আরেক ব্যবসায়ী সায়েমেরও, যিনি বলেন, "৫০ কেজির বস্তায় এক লাফে ৪০০ টাকা দাম বাড়া নজিরবিহীন। এটি কৃত্রিম সংকট।"

অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, "সরকারকে বাজার তদারকি জোরদার করতে হবে। অসাধু মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। খোলা বাজারে চাল বিক্রির উদ্যোগও বাড়াতে হবে। নাহলে চালের বাজার আরও বেসামাল হবে।"

মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও বাজারে নিত্যপণ্যের লাগাতার দাম বৃদ্ধিতে মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। এখনই যদি কার্যকর হস্তক্ষেপ না আসে, তাহলে মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

২৯০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন