জ্বালানি তেলের বাজারে বড় পতনের পূর্বাভাস

মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫ ৪:২৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামে বড় ধরনের পতনের ইঙ্গিত দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক মরগান স্ট্যানলি।
তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কয়েক ধাপে দাম কমে আগামী বছরের শুরুতে ব্রেন্ট তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে নেমে আসতে পারে। সোমবার (৩০ জুন) এক নোটে এই বিশ্লেষণ তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটি।—রয়টার্স।
বিশ্বব্যাপী খ্যাতনামা এই বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো থাকায় এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা কমে আসায় তেলের দামে স্থিতিশীল পতনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আগামী বছরগুলোতে উৎপাদনও বাড়বে বলে তারা আশা করছে।
মরগান স্ট্যানলির হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ ও ২০২৬ সালে ওপেকের বাইরের দেশগুলো থেকে দৈনিক গড়ে ১০ লাখ ব্যারেল করে অতিরিক্ত তেল সরবরাহ হতে পারে। যা বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধির চেয়ে বেশি এবং বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহ সৃষ্টি করবে।
ব্যাংকটি আরও জানিয়েছে, ওপেক তার উৎপাদন সীমা হ্রাস অব্যাহত রেখেছে। তবুও ২০২৬ সালে দৈনিক প্রায় ১৩ লাখ ব্যারেল অতিরিক্ত সরবরাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।
এদিকে ওপেক এবং রাশিয়াসহ তাদের মিত্ররা মে থেকে জুলাইয়ের মধ্যে দৈনিক ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে। ফলে এপ্রিলের তুলনায় তেল উৎপাদনও বাড়ছে ধীরে ধীরে।
তবে মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রভাবে বাজারে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও সেটি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের। রয়টার্সের এক জরিপে দেখা গেছে, সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি চাহিদা হ্রাসের সম্ভাবনাও রয়েছে, যা শেষ পর্যন্ত অপরিশোধিত তেলের বাজারে নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি করবে।
সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ফিউচারের দাম ১৬ সেন্ট বা ০.২ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৬৭.৬১ ডলারে দাঁড়ায়। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) তেলের দাম কমে দাঁড়ায় ব্যারেলপ্রতি ৬৫.১১ ডলার, যা আগের দিনের তুলনায় ৪১ সেন্ট বা ০.৬ শতাংশ কম।
এর আগে ১৩ জুন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে তেলের দাম বেড়ে গিয়ে ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এমনকি অনেকেই ১০০ ডলারের আশঙ্কাও করছিলেন। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় দ্রুতই তেলের দাম কমে আসে।
এই বিষয়ে অ্যাগেইন ক্যাপিটালের বিশ্লেষক জন কিল্ডাফ বলেন, ‘দ্রুতগতির যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকায় সরবরাহ-সংকটের যে শঙ্কা ছিল তা অনেকটাই কেটে গেছে। ফলে তেলের বাজারেও চাপ কমছে।’
১৩০ বার পড়া হয়েছে