গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত, হাসপাতালগুলোর অবস্থা ভয়াবহ

নিহতদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ। গাজার চিকিৎসা সূত্র ও আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু গাজা শহর ও উত্তরাঞ্চলেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৭ জন।

গাজা শহরের আল-আহলি হাসপাতালের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে আল-জাজিরার সাংবাদিক মুয়াথ আল-খালুত বলেন, “এখানে প্রচুর আহত মানুষ এসেছেন, যাদের মধ্যে অনেক শিশু। পর্যাপ্ত বেড বা চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই, অনেকেই মেঝেতে পড়ে আছেন। হাসপাতালটির চিকিৎসা সংকট চরম অবস্থায় পৌঁছেছে।”

ইসরায়েলি বাহিনী পূর্ব গাজা শহরে লিফলেট ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণে চলে যেতে বলছে। সাধারণত এই সতর্কতার পরই সেখানে ব্যাপক বোমা হামলা হয়, ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন ছিলেন, যারা খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে সহায়তা নিতে গিয়েছিলেন। বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে সহায়তা নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনারা বারবার গুলি চালাচ্ছে, এতে মে মাসের শেষদিক থেকে এ পর্যন্ত ৫৮০ জনের বেশি নিহত এবং চার হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন।

গাজায় মানবিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, “গাজায় মানবিক সংকট এই দীর্ঘ ও নৃশংস সংঘাতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভয়াবহ।” তিনি বলেন, “মানুষ খাবার সংগ্রহ করতে গিয়েই নিহত হচ্ছে। খাবারের সন্ধান কখনোই মৃত্যুদণ্ড হতে পারে না।”
অপুষ্টি ও খাদ্য সংকটের কারণে গাজায় অন্তত ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তর। দুধ, পুষ্টিকর খাবার ও মানবিক সহায়তা ঢুকতে না দেওয়াকেই এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হচ্ছে।

গাজা শহরের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকট, বেডের অভাব এবং ওষুধের সংকটে চিকিৎসাসেবা কার্যত ভেঙে পড়েছে। অনেক আহত ও অসুস্থ মানুষ মেঝেতে পড়ে চিকিৎসার অপেক্ষায় আছেন।