গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭২, ত্রাণ ও আশ্রয়স্থলেই প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ

হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের অনেকেই ছিলেন ত্রাণ নিতে আসা সাধারণ মানুষ এবং আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত পরিবার।

গাজার বিভিন্ন স্থানে বিমান ও স্থল হামলা চলে। বিশেষ করে গাজা শহরের আশ্রয়কেন্দ্র, খান ইউনুসের আবাসিক এলাকা এবং রাফাহর শরণার্থী শিবিরে হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় আবাসিক ভবন, স্কুল ও বাজারে হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ত্রাণ নিতে আসা মানুষের মধ্যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গত চার সপ্তাহে বিতরণকেন্দ্রে হামলায় ৫৪৯ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।
লাগাতার হামলার কারণে বহু মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে বা খোলা রাস্তায় পড়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা নিরাপত্তার অভাবে অনেক এলাকায় পৌঁছাতে পারছেন না।

ইসরায়েল আবারও গাজায় ত্রাণ সরবরাহ স্থগিত করেছে। ফলে খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকট আরও তীব্র হয়েছে। গাজা সরকারের গণমাধ্যম দপ্তর জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলো কার্যত ‘মৃত্যুফাঁদ’ হয়ে উঠেছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান সংঘাতে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ২৫৯ জনে এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজারের বেশি মানুষ। ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গাজার বহু আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, স্কুল ও শরণার্থী শিবির ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।