সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

কাতারে হামলার: মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫ ৬:১২ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
সোমবার রাত ৮টায় কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে ইরান ছয়টি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

এতে ঘাঁটির কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে বড় ধরনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। হামলার পরপরই ঘাঁটিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সংঘাতের জেরে উপসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে নজিরবিহীন সতর্কতা জারি হয়েছে। কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, বাহরাইনসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম ও বিমান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

কাতারে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি আল-উদেইদ এয়ার বেসে (Al Udeid Air Base) সম্প্রতি প্রায় সব যুদ্ধবিমান ও রিফুয়েলিং এয়ারক্রাফট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ১৯ জুনের স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, যেখানে আগে ৪০টির মতো বিমান ছিল, সেখানে এখন মাত্র তিনটি বিমান অবস্থান করছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি “প্রোঅ্যাকটিভ ডিসপার্সাল স্ট্র্যাটেজি”—অর্থাৎ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঝুঁকি কমাতে বিমান ও গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম ছড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

ইরাকের আল-আসাদ (Al Asad Airbase) ও এরবিল (Erbil Airbase) মার্কিন ঘাঁটিগুলো ইরানি প্রতিশোধের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এই ঘাঁটিগুলো অতীতে ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রক্সি রকেট হামলার লক্ষ্য হয়েছে। বর্তমানে এগুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

আবুধাবির আল-ধাফরা (Al Dhafra Air Base) মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে হাজার হাজার মার্কিন সেনা ও অত্যাধুনিক বিমান রয়েছে। আঞ্চলিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে এবং ঘাঁটির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

কুয়েতের আলি আল-সালেম (Ali Al Salem Air Base) মার্কিন ঘাঁটিতেও সতর্কতা জারি রয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ এখানেও জরুরি প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছে।

বাহরাইনে মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম ফ্লিটের সদর দপ্তর অবস্থিত। এখানেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং জরুরি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ইরান সরাসরি হামলার হুমকি দিলেও, আলজাজিরা বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, উপসাগরীয় মার্কিন ঘাঁটিতে সরাসরি বড় হামলার সম্ভাবনা কম, তবে প্রক্সি হামলা, ড্রোন বা সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।

১১১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন