লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলা

এই হামলার লক্ষ্য হিসেবে হিজবুল্লাহর সামরিক অবস্থান বা স্থাপনা উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও এখনও হামলায় নিহত বা আহতের সংখ্যা এবং ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ জানা যায়নি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার ব্যাপারে কোনো বিবৃতি দেয়নি।

গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে সীমান্ত এলাকায় হামলা-পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে সীমান্ত অঞ্চলে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি পুনর্গঠন করছে, যার ফলে ইসরায়েল তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বারবার হামলা চালাচ্ছে।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ হিজবুল্লাহকে সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলের ধৈর্য ফুরিয়ে এসেছে এবং হুমকি দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে, হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এখনও যুদ্ধবিরতিতে আটকে রয়েছে এবং কোনো বড় আকারের হামলা চালানোর পরিকল্পনা নেই, তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী তাদের অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে।

আজকের এই বিমান হামলা ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাতের ধারাবাহিকতায় নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই হামলা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন এবং অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।