গাজা যুদ্ধ ও ইরানের হামলায় ইসরায়েলে মানসিক স্বাস্থ্য সংকট

মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫ ৫:৫৬ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
গাজা যুদ্ধ ও সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার ফলে ইসরায়েলি সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
যুদ্ধ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে সাধারণ নাগরিক ও সৈন্যদের মধ্যে মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
২০২৫ সালের মার্চে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার পর থেকে দেশটিতে মানসিক রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসরায়েলি পর্যবেক্ষক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আল আকসা তুফান অভিযানের পরে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ মানসিক সংকটে পড়েছেন, যার মধ্যে ৫ লাখ ৮০ হাজার গুরুতর মানসিক রোগে আক্রান্ত।
ইরানের পাল্টা হামলা এবং ইসরায়েলের সামরিক প্রতিক্রিয়ার সময়ও আতঙ্ক ও মানসিক চাপ বেড়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তেহরানের বাসিন্দাদের শহর ছাড়ার নির্দেশনা এবং পাল্টা হামলার আশঙ্কায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মানসিক স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ইসরায়েলের স্বাস্থ্যব্যবস্থা চাপে পড়েছে। নয় লাখ মানুষ মানসিক চিকিৎসার জন্য অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন, যাদের কেউ কেউ ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে এই সংকট আরও গুরুতর হতে পারে, যা ইসরায়েলের অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামোকে দুর্বল করে দেবে।
দীর্ঘমেয়াদি মানসিক রোগ শ্রমশক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং অর্থনৈতিক উৎপাদন ব্যাহত করছে। যুদ্ধের ফলে গাজার আশপাশের বসতিগুলো থেকে স্থানান্তরিত ১১ শতাংশ মানুষ ছাড়া অনেকেই এখনো মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাননি।
গাজা যুদ্ধ ও ইরানের হামলার ফলে ইসরায়েলি সমাজে মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থার দুর্বলতা এবং দীর্ঘমেয়াদি মানসিক রোগের কারণে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
(বিবিসি, ল্যান্সেট, জাতিসংঘ, WHO, মিডল ইস্ট আই, দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, ড্রপ সাইট নিউজ, এবং পিউ রিসার্চ সেন্টারসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সংস্থার তথ্য)
১১০ বার পড়া হয়েছে