ইসরায়েলের চতুর্থ দিনের হামলায় ইরানে ব্যাপক প্রাণহানি ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি

শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ইসরায়েল ইরানের নাতাঞ্জ, ইস্পাহান, হামাদান, পূর্ব আজারবাইজান, লোরেস্তান ও কেরমানশাহসহ অন্তত আটটি শহরে টানা আক্রমণ চালায়। মূল লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি, ইউরেনিয়াম রূপান্তর কেন্দ্র, জ্বালানি উৎপাদন কারখানা এবং পুলিশের পাবলিক সিকিউরিটি সদর দপ্তর।

ইসরায়েলের এই হামলায় ইরানের সামরিক ও বৈজ্ঞানিক অবকাঠামোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় ইরানে অন্তত ৮০০ জন আহত হয়েছেন এবং প্রাণহানির সংখ্যা ২০ জন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, ৯ জন পারমাণবিক বিজ্ঞানীসহ ৭৮ জনের বেশি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি দূত।

নিহতদের মধ্যে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান, সেনাপ্রধান এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তার নাম রয়েছে। এছাড়া বহু বেসামরিক নাগরিকও হতাহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের ইস্পাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনায় অন্তত চারটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানী তেহরানের শারান তেল ডিপোতেও বড় ধরনের বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যার ফলে জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। পশ্চিমাঞ্চলীয় হামাদান প্রদেশে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজন নিরাপত্তা সদস্য নিহত হয়েছেন। পূর্ব আজারবাইজান ও লোরেস্তান প্রদেশেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।