সত্যিই কি হামলার সময় পালিয়ে গেছে নেতানিয়াহু!

শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫ ১২:০৮ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার নতুন অধ্যায় শুরু করেছে ইরান। শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামক অভিযানের আওতায় ইসরায়েলের দিকে শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দেশটি।
এই প্রতিশোধমূলক হামলার ফলে ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বাংকারে আশ্রয় নেন। সেখান থেকেই তারা নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও কৌশল নির্ধারণ করছেন বলে জানিয়েছে দেশটির এক সরকারি সূত্র।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, শুক্রবার হামলার শুরুর দিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে ট্রাম্পের অবস্থান গোপন রাখা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা শুরুর পর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে একটি ‘অজ্ঞাত নিরাপদ স্থানে’ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গ্রিসে অবস্থান করছেন। তবে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
এদিকে, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়াবহতায় শুক্রবার রাতজুড়ে আলোকরেখা ও বিস্ফোরণের আওয়াজে আলোয় ভরে উঠে ইসরায়েলের আকাশ। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ হামলার ব্যাপকতা স্বীকার করে জানায়, নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি হামলা প্রতিহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে তারা।
ইসরায়েলি দৈনিক দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, এ হামলায় অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন নারী গুরুতর আহত হয়ে প্রাণ হারান। আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বেশ কয়েকজনকে মাঝারি থেকে গুরুতর আঘাতে আক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা হামলার সময় আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন না বলে জানায় গণমাধ্যমটি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকলেও হামলার মাত্রা এতটাই প্রবল ছিল যে পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব হয়নি।
মধ্যপ্রাচ্যে এই স্নায়ুযুদ্ধের নতুন রূপ নেওয়া সংঘর্ষ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তবে পরিস্থিতি আরও কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
১৩২ বার পড়া হয়েছে