বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ আবারও বৃদ্ধি, সতর্কতা জোরদার

বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। নতুন ধরন শনাক্তের পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসের শুরু থেকে সংক্রমণ বাড়ছে এবং সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সংক্রমণ ও পরিসংখ্যান দেখা গেছে গত ৮ জুন (রোববার) ২৪ ঘণ্টায় চারজনের নমুনা পরীক্ষায় তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। চলতি জুন মাসে এ পর্যন্ত ২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০। সর্বশেষ ৫ জুন একজনের মৃত্যু হয়েছে, দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ২৯,৫০০। আইসিডিডিআরবির তথ্য অনুযায়ী, নতুন শনাক্ত ধরনগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্সএফজি ও এক্সএফসি, যা অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংক্রমণ বাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ, বিশেষত ভারতে নতুন ধরন ছড়ানোর কারণে বাংলাদেশেও ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য ডেস্কে স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঁচ দফা স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, নিয়মিত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, বাইরে গেলে মাস্ক পরা, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা, আন্তর্জাতিক প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা মজুত রয়েছে ৩১ লাখ, তবে এর মধ্যে ১৭ লাখের মেয়াদ আগস্টের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতসহ সংক্রমিত দেশগুলোতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনার নতুন ধরন ও সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে আবারও সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা, মাস্ক ব্যবহার, ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণে সতর্কতা—এসব পদক্ষেপের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
১৪০ বার পড়া হয়েছে