বাজেটে দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের

তবে সংসদ না থাকায়, এবারের বাজেটের ঘোষণা সরাসরি দেশের টেলিভিশন ও রেডিও মাধ্যমে একযোগে সম্প্রচারিত হয়েছে।

নতুন বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক ও করের হার বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা সরাসরি এসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে। দেশের ৫৪তম বাজেট হিসেবে এটি পরিচিত, এবং এটি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট।

বাজেটের প্রস্তাব অনুযায়ী, কিছু পণ্যের শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে, যার ফলে তাদের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিচে সেই পণ্যের তালিকা দেয়া হলো:

দাম বাড়ার সম্ভাব্য পণ্যসমূহ:

- মোবাইল ফোন: উৎপাদন ও সংযোজনে ভ্যাটের অব্যাহতি কমানো ও মেয়াদ বাড়ানোর ফলে এই খাতে ব্যয় বেড়ে যেতে পারে, ফলে মোবাইলের দাম বাড়বে।

- প্লাস্টিকের তৈজসপত্র ও গৃহস্থালি সামগ্রী: ভ্যাটের হার দ্বিগুণ করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পণ্যে ভ্যাট ছাড়াবদ্ধতা থাকলেও সাধারণ পণ্যের দাম বাড়বে।

- ইলেকট্রনিক্স ও ঘরোয়া যন্ত্রপাতি: ওয়াশিং মেশিন, ব্লেন্ডার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, জুসার, আইরন ইত্যাদি উৎপাদনে ভ্যাটের অব্যাহতি কমানো হয়েছে, ফলে এ সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

- বিদেশি চকলেট: শুল্কের জন্য ইউনিটপ্রতি মূল্য ৪ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ ডলার করা হয়েছে। ফলে আমদানির খরচ বেড়ে, চকলেটের দাম বাড়বে।

- এলপিজি সিলিন্ডার: ভ্যাটের মেয়াদ বাড়ানো ও কমানো হয়েছে, ফলে এলপিজি গ্যাসের দামও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

- প্রসাধনী ও সৌন্দর্য সামগ্রী: ঠোঁট, চোখ ও মুখমণ্ডলের ব্যবহৃত প্রসাধন সামগ্রীর শুল্কায়ন মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যার প্রভাব পড়বে আমদানির দামের উপর।

- ব্লেড: দাড়ি কাটার জন্য ব্যবহৃত ব্লেডের শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে, যার ফলে এর দাম বাড়বে।

এছাড়াও, এবারের বাজেটের আকার প্রস্তাবিত হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় সাত হাজার কোটি টাকা কম। সংসদ না থাকায় এই বাজেটের ঘোষণা রেডিও ও টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি প্রচার করা হয়েছে।

সংক্ষেপে, এই বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে, যার মধ্যে মোবাইল ফোন, গৃহস্থালি সামগ্রী, ইলেকট্রনিক্স, প্রসাধনী ও এলপিজি সিলিন্ডার উল্লেখযোগ্য।