সিলেটে বৃষ্টি কমেছে, নদ-নদীর পানি বাড়লেও বন্যার আশঙ্কা নেই

বৃহস্পতিবার , ২৯ মে, ২০২৫ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সিলেটে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনও তা বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
ফলে বর্তমানে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, যা জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত আরও ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে সকাল ১০টার পর থেকে বৃষ্টির মাত্রা কমতে শুরু করে। আগামী কয়েক দিন আকাশ মেঘলা থাকলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি কিছুটা বেড়েছে, তবে বিপৎসীমার নিচেই রয়েছে। আজ সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২.৮৫ সেন্টিমিটার নিচে এবং কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে ৫.২৬ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।
এছাড়া জাফলংয়ের পিয়াইন নদীর পানি সামান্য কমে বিপৎসীমার ৩.৯৭ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। গোয়াইনঘাট এলাকায় সারি ও গোয়াইন নদীতেও পানি বেড়েছে, তবে তা এখনও বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করেনি।
বন্যার আশঙ্কা না থাকলেও নগরবাসীকে ভোগান্তিতে ফেলেছে জলাবদ্ধতা। সিলেট শহরের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণ, হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন, কাজলশাহ, শাহজালাল উপশহর, চৌহাট্টা, শিবগঞ্জ, মেজরটিলা ও লিচুবাগান এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকায় এসব এলাকার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে।
কাজলশাহ এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, “প্রতি বছর ভারী বৃষ্টির সময় আমাদের ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য বহুবার অভিযোগ জানালেও সিটি করপোরেশন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, “বর্ষা মৌসুমের আগে খাল ও ড্রেন পরিষ্কারসহ নানা প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। তবে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য বিভিন্ন এলাকায় ড্রেনের মুখ বড় করা ও ছিদ্রে লাগানো নেট অপসারণ করা হয়েছে।”
১১৩ বার পড়া হয়েছে