আগামী জুনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫ ২:২৫ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, সরকার যে সংস্কারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়নের পাশাপাশি আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশে একটি সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
বুধবার টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগ (জেবিপিএফএল)-এর সভাপতি তারো আসোর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিনটি মূল খাতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে—সংস্কার, হত্যাকারীদের বিচার ও একটি অবাধ সাধারণ নির্বাচন।” তিনি জানান, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠন এবং ঋণ পরিশোধে দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধন করেছে।
সাবেক সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “পূর্ববর্তী সরকার দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তরুণরা এর বিরুদ্ধে জেগে উঠতে বাধ্য হয়েছে। এই বিশৃঙ্খলা থেকে উত্তরণের আহ্বান জানিয়ে তারাই আমাকে এই দায়িত্বে ডেকেছে।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১০ মাসে জাপান আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এই সফরে এসেছি। এটি এক অর্থে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সফর।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ।
বৈঠকে আসোসহ অন্যান্য জাপানি আইনপ্রণেতারা বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর হলে বাংলাদেশে আরও বেশি জাপানি বিনিয়োগ আসবে। এতে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, আগামী আগস্টের মধ্যে আলোচনার চূড়ান্ত রূপরেখা সম্পন্ন করে সেপ্টেম্বরেই ইপিএ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এটি হলে জাপান হবে বাংলাদেশের সঙ্গে ইপিএ স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। অধ্যাপক ইউনূস জাপানি প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন, “এই সংকট বিশ্বের অন্যান্য শরণার্থী সংকট থেকে ভিন্ন। কারণ তারা অন্য দেশে নয়, নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে চায়।”
বৈঠকের শেষ পর্যায়ে তিনি তারো আসো ও প্রতিনিধিদলকে চলমান সংস্কার কার্যক্রম সরেজমিনে দেখার জন্য বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
১৩৩ বার পড়া হয়েছে