সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

গাজায় ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলায় ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত, পুড়ে শিশুর মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫ ১:১০ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর দুটি পৃথক বিমান হামলায় অন্তত ৫৪ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহত ও নিহতদের অধিকাংশের শরীর পুড়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, ফলে অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

প্রথম হামলাটি চালানো হয় গাজা সিটির ফাহমি আল-জারগাওয়ি স্কুলে, যেখানে বেইত লাহিয়া এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে শত শত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। বোমার আঘাতে স্কুলের দুটি শ্রেণিকক্ষে আগুন ধরে গেলে সেখানে থাকা কমপক্ষে ২০ জন জীবন্ত পুড়ে মারা যান। শিশুদের আর্তচিৎকার ও পোড়া গন্ধে পুরো এলাকা থমকে যায়।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার সিভিল ডিফেন্সের একজন মুখপাত্র বলেন,
“অনেক মরদেহ এতটাই দগ্ধ হয়েছে যে সেগুলো শনাক্ত করা সম্ভব নয়। আগুন, ধোঁয়া আর পোড়া শরীর চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল।”
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা ওই স্কুল ভবনকে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের একটি কমান্ড সেন্টার হিসেবে চিহ্নিত করেছিল, যেখানে ইসরায়েলি নাগরিক ও সেনাদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা হচ্ছিল। আইডিএফ অভিযোগ করেছে, হামাস সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করছে।

এরই মধ্যে গাজার জাবালিয়া এলাকায় একটি বাড়িতে চালানো পৃথক হামলায় আরও ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

এই হামলাগুলো গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের ধারাবাহিকতা। আইডিএফ জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় তারা ২০০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

এর আগে, গত শুক্রবার (২৩ মে) গাজায় এক নারী চিকিৎসকের বাড়িতে চালানো বিমান হামলায় তার নয় সন্তান প্রাণ হারায়। নিহতদের বয়স কয়েক মাস থেকে শুরু করে ১২ বছর পর্যন্ত। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই চিকিৎসকের স্বামী ও একমাত্র জীবিত সন্তান।

এছাড়া, শনিবার খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় রেড ক্রসের দুই কর্মী—ইব্রাহিম ঈদ ও আহমাদ আবু হিলাল নিহত হন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫৩,৯৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১,২২,৭৯৭ জন। সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু মানুষের মরদেহ চাপা পড়ে আছে—যার ফলে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

১৪৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন