সরকারি চাকরিতে বিশেষ বিধান ফিরেছে আন্দোলনের মধ্যেই

সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫ ৪:৪৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যादेश, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে সচিবালয়ে রোববার সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী দপ্তর ছেড়ে নিচে নেমে এই আন্দোলনে অংশ নেন। সমকাল
বিক্ষোভের মাধ্যমে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর অনুমোদনের বিরুদ্ধে অবস্থান ব্যক্ত করেন কর্মচারীরা। তারা বলছেন, এই খসড়া পরিবর্তনমূলক ও কালাকানুন হিসেবে বিবেচিত, এবং তা প্রত্যাহার না হলে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার সচিবালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে চলমান এই আন্দোলন গত বৃহস্পতিবার সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত খসড়া প্রকাশের মাধ্যমে শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, এই খসড়াকে বাতিল করতে হবে, না হলে তারা অব্যাহত থাকবে।
গতকাল সন্ধ্যায় সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৩৭ এর পর নতুন ধারা ৩৭ক সংযোজিত হয়েছে।’ এর পাশাপাশি, সরকারি কর্মচারীদের আচরণ ও শাস্তির জন্য বিশেষ বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
নতুন এই বিধানে চার ধরনের অপরাধ ও তিন ধরনের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। অপরাধগুলো হলো– সরকারি কর্মচারীর এমন কাজ করা যাতে অন্যদের মধ্যে অনুগত্য সৃষ্টি হয় বা শৃঙ্খলা ভেঙে যায়; ছুটি বা অন্য কোনো কারণ ছাড়াই কাজে অনুপস্থিত থাকা বা কর্তব্যে ব্যর্থ হওয়া; অন্য কর্মচারীকে কাজে অনুপস্থিত থাকতে বা কর্তব্য না করতে উস্কানি দেওয়া; এবং কাজ না করতে বা অনুপস্থিত থাকতে প্ররোচিত করা।
সরকারি এই পরিবর্তন ও সংশোধনের প্রতিবাদে আন্দোলন চলমান থাকলেও, এর মধ্যেই ফিরেছে কিছু বিশেষ বিধান হিসেবে কর্মচারীদের জন্য নতুন শাস্তি ও দায়বদ্ধতা।
১৩৫ বার পড়া হয়েছে