সর্বশেষ

জাতীয়

সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন, প্রতিবাদ কর্মচারী সংগঠনের

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫ ৫:৫২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং শেষে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে খসড়ায় কী কী পরিবর্তন এসেছে, সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

সংশোধনীতে কড়া শর্ত
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতকৃত খসড়ায় সরকারি কর্মচারীদের আচরণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর শর্ত আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, চার ধরনের অপরাধ ও তিন ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। অপরাধের মধ্যে রয়েছে— কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা, সহকর্মীদের প্ররোচিত করা এবং অনানুগত্য সৃষ্টি। এই অপরাধের জন্য বরখাস্ত, অব্যাহতি ও পদাবনতি বা বেতন হ্রাসের মতো শাস্তি দেওয়া যাবে।

২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের মাধ্যমে ‘সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯’ এর কিছু ধারা পুনরায় যুক্ত করা হয়েছে। তবে এই অধ্যাদেশটি পূর্বে ‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী’ বাতিল হওয়ায় অকার্যকর হয়ে গিয়েছিল।

কর্মচারীদের প্রতিবাদ ও উদ্বেগ
নতুন খসড়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে সচিবালয়ের একাধিক কর্মচারী সংগঠন। সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের দুই অংশ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন পৃথক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, এ ধরনের আইন কার্যকর হলে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ভয়, অনিশ্চয়তা ও হতাশা বাড়বে।

পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ বলেছেন, প্রস্তাবিত ধারা সংবিধানের ১৩৫(২) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একাংশের সভাপতি নুরুল ইসলাম জানান, সংশোধনী প্রণয়নের আগে কর্মচারীদের মতামত নেওয়া হয়নি। তারা দাবি করেন, এই উদ্যোগ গোপনে সম্পন্ন করা হয়েছে, যা অস্বচ্ছ ও অগণতান্ত্রিক।

অন্যদিকে, আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন আশঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, নতুন অধ্যাদেশ জারি হলে কর্মচারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হবে এবং চাকরি হারানোর ভয় বাড়বে। অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “এই খসড়া অবিলম্বে বাতিল করা উচিত।”

নতুন অধ্যাদেশ কার্যকর হলে সরকারি চাকরিজীবীদের ওপর শৃঙ্খলা রক্ষার নামে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছেন অনেকে। অপরদিকে, সরকার বলছে— প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতেই এ উদ্যোগ। তবে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের মধ্যে আলোচনার ঘাটতি ও স্বচ্ছতার অভাব পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

১০৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন