রাজধানীর বাজারে সবজি ও মুরগির দাম কম, স্থিতিশীল ডিম ও মুদি পণ্যের মূল্য

শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫ ৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমে এসেছে। তবে ডিম ও অধিকাংশ মুদি পণ্যের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও তালতলা ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
সবজি এখন হাতের নাগালে
বেশিরভাগ মৌসুমি সবজি এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই দামে পাওয়া যাচ্ছে পটোল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা ও কাঁকরোল। অন্যদিকে বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুন ও ঝিঙের দাম ৫০-৬০ টাকার মধ্যে রয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে সবজির দামে এই ধরনের স্থিতিশীলতা কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে।
কমেছে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম
বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে বর্তমানে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছু বাজারে যদিও ১৭০ টাকা বলা হচ্ছে, তবে দরদাম করলে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি, সোনালী মুরগির দামও কমে এসেছে। এখন প্রতি কেজি সোনালী মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দামে স্থিরতা
ডিমের বাজারে গত সপ্তাহের পর থেকে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। এখনো প্রতি ডজন ডিম বড় বাজারে ১৪০ টাকা এবং পাড়া-মহল্লায় ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে নতুন চালের দাম কমেছে
নতুন মিনিকেট চালের দাম কিছুটা কমেছে। ২৫ কেজির বস্তা প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমে এখন সর্বোচ্চ ২০০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুরোনো মিনিকেট চাল এখনও কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে—সর্বনিম্ন ৭২ টাকা কেজি এবং ভালো মানের চাল ৮৫-৮৬ টাকা পর্যন্ত গিয়েছে।
মুদি পণ্যে তেমন হেরফের নেই
তেল, চিনি ও ডালের দামে গত এক সপ্তাহে তেমন পরিবর্তন আসেনি। বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
মাছের বাজারে উর্ধ্বগতি
মাছের বাজারে দেখা গেছে চড়াভাব। বিশেষ করে চাষের চিংড়ি এখন ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, আর নদীর চিংড়ি এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা ও পুঁটির দামও বেড়েছে। চাষের রুই, কাতলা ৩২০-৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা ও পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের তুলনায় ২০-৫০ টাকা বেশি।
ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম কিছুটা সহনশীল থাকলেও মাছের বাজারে লাগাম টানা প্রয়োজন।
১০৯ বার পড়া হয়েছে