পদ বঞ্চিতদের হুঁশিয়ারি
‘আমাদের বাদ দিয়ে কুষ্টিয়ায় কেউ বিএনপি করতে পারবে না’

বৃহস্পতিবার , ২২ মে, ২০২৫ ৪:৫৭ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
এ নিয়ে গত ছয় মাসে চারবার সংবাদ সম্মেলন করে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন পদবঞ্চিত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
এ সময় তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন।
এবার সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামিমুল হাসান অপু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের বাদ দিয়ে কুষ্টিয়ায় কেউ বিএনপি করতে পারবে না। কারও সাহসও নেই। ত্যাগী নেতাদের নিয়ে নতুন কমিটি করতে হবে। কোনো ছাড় নাই।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ায় ২০১৯ সালের ৮ মে সৈয়দ মেহেদী আহমেদকে সভাপতি ও সোহরাব উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রেখে জেলা বিএনপির ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। তার আগে ২০১২ সালে গঠিত কমিটিতে এই দুজন একই পদে ছিলেন। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় গত ১২ সেপ্টেম্বর ওই কমিটি বাতিল করা হয়। এরপর গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকারকে সদস্যসচিব করে জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। এরপর ৪ নভেম্বর ৩১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘বর্তমান কুতুব-জাকির কমিটি সারা জেলায় সার্চ কমিটির নামে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দলে টানছে। যেসব ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি তৈরি করছে, সেগুলো দলের সাংগঠনিক নির্দেশ না মেনে ইচ্ছেমতো গঠন করছে। এতে প্রকৃত ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হচ্ছেন। আগামী ডিসেম্বরে যে জাতীয় নির্বাচন আসছে, তাতে কুষ্টিয়া বিএনপির ভরাডুবি হবে। সবগুলো আসন হারাতে হবে। দলের মধ্যে কোন্দল বাড়বে। তাই অবৈধ মেয়াদোত্তীর্ণ আহ্বায়ক কমিটি অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে পদবঞ্চিত নেতারা বলেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির বিতর্কিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দীন ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন সরকার যেভাবে বিএনপিকে কুষ্টিয়া জেলায় ধ্বংস করার জন্য নীলনকশা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছেন, তা নিন্দনীয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে ও ইন্ধনে সমগ্র জেলাব্যাপী চাঁদাবাজি, দখলদারি প্রবল আকার ধারণ করেছে। এভাবে চলতে থাকলে এবং বিতর্কিত কমিটি না পরিবর্তন হলে বিএনপির ঘাঁটি কুষ্টিয়ায় আরও দুর্বল হয়ে যাবে।
জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদার বলেন, ‘প্রতিকার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। সংঘাতেও রূপান্তরিত হতে পারে। তাঁরা করলে একবিন্দুও ছাড় দেব না। দাঁতভাঙা জবাব দিতেও আমরা প্রস্তুত।’
জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মেজবাউর রহমান পিন্টু বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর রাজপথে ছিলাম। এখনো আছি। কমিটি বাতিলের দাবিতে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বশিরুল আলম (চাঁদ), জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বাচ্চুসহ ২০ থেকে ২৫ জন পদবঞ্চিত নেতা উপস্থিত ছিলেন।
১২২ বার পড়া হয়েছে