সর্বশেষ

সারাদেশ

সীমান্তে পুশইনরোধে জনগণের সহযোগিতা চাইলেন বিজিবি মহাপরিচালক

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি 
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি 

শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫ ১১:২৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ভারত থেকে অবৈধভাবে মানুষ ঢোকানোর (পুশইন) ঘটনা ঠেকাতে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বসবাসকারী জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

শনিবার (১৭ মে) সুন্দরবনের শ্যামনগরে বিজিবির ‘বয়েসিং ভাসমান বিওপি (বর্ডার আউট পোস্ট)’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় ভাসমান বিওপির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বিজিবি ডিজি জানান, দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী অঞ্চল—বিশেষ করে সিলেটের বিয়ানীবাজার, শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ, কুড়িগ্রামের রৌমারী এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম অঞ্চলে পুশইনের ঘটনা ঘটছে।

তিনি বলেন, "সকালের দিকেও কিছু পুশইনের ঘটনা ঘটেছে। সীমান্ত এত বিস্তৃত যে প্রতিটি ইঞ্চি পাহারা দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। তাই স্থানীয় জনগণের সহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি তারা কিছু সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন এবং দ্রুত বিজিবিকে জানান, তাহলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়।"

ডিজি আরও বলেন, বিজিবির নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে এবং আনসারের সহায়তাও নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও অবহিত রাখা হচ্ছে।

তিনি পুশইনকে একটি "নিয়মবহির্ভূত প্রক্রিয়া" উল্লেখ করে বলেন, "যদি বাংলাদেশি নাগরিক কেউ ভারতে অবস্থান করে থাকে এবং ফেরত আসতে চায়, তবে তা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হওয়া উচিত। এতে দুই দেশই উপকৃত হবে।"

তিনি আরও জানান, যারা সীমান্ত পার হয়ে আসছে, তাদের অনেকের কাছেই ভারতীয় আধার কার্ড থাকলেও প্রমাণ হিসেবে তা বৈধভাবে উপস্থাপন করা কঠিন।

অপরাধী প্রবেশের ঝুঁকি সম্পর্কিত এক প্রশ্নে বিজিবি প্রধান বলেন, "কোনো আশঙ্কাকেই একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে কোনো অপরাধী প্রবেশ করে দেশের ক্ষতি না করতে পারে। এজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ চলছে।"

সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদী সংলগ্ন এলাকায় চোরাচালান রোধে নতুন এই ভাসমান বিওপি স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে বিজিবি ডিজি বলেন, “এই এলাকায় চোরাচালানকারী চক্র সক্রিয় ছিল। তাদের দমনে তৃতীয় ভাসমান বিওপি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিই। এটি দেশে তৈরি করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, যশোর রিজিয়নের কমান্ডার, খুলনা সেক্টর কমান্ডার, নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

১১৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন