রাজু ভাস্কর্যে সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হলো জাতীয় সংগীত

মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫ ৩:৫১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
শাহবাগে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সোমবার সন্ধ্যায় সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছেন শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’—এই জাতীয় সংগীতের সুরে মুখরিত হয় রাজু ভাস্কর্য চত্বর। অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে অনুষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
আয়োজকরা জানান, ১০ মে শাহবাগে একটি বিক্ষোভ চলাকালে কয়েকজনকে জাতীয় সংগীত গাইতে বাধা দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদেই এই আয়োজন। সংগীত পরিবেশনের আগে-পরে 'তুমি কে আমি কে, বাংলাদেশি বাংলাদেশি', 'একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার'—সহ বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয় রাজু এলাকা।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, "বাংলাদেশে পাকিস্তানপন্থা বা ভারতপন্থা চলবে না। চলবে শুধু বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি। যারা একাত্তরের বিরোধিতা করেছিল, তারা এই বাংলার হতে পারে না।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আবদুল কাদের যোগ করেন, “আজকের প্রতিবাদ ছিল বাংলাদেশপন্থীদের সম্মিলিত অবস্থান। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে যারা আঘাত করবে, তাদের বিরুদ্ধে এটাই আমাদের বার্তা।”
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা বলেন, “জাতীয় সংগীত গাওয়া শুধু সাংস্কৃতিক কাজ নয়, এটি ছিল রাজনৈতিক প্রতিবাদ। শাহবাগে এই সংগীত গাওয়ার সময় যারা বাধা দিয়েছে, তারা একাত্তরের চেতনাকে খর্ব করতে চায়।”
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা আলম বলেন, “একাত্তর আমাদের অস্তিত্ব, এ নিয়ে কোনো আপস নয়।”
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, “যে ঐক্যে জাতীয় সংগীত গাওয়া সম্ভব না, সে ঐক্যের প্রয়োজন নেই। তবে ঐক্য হোক মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের বাদ দিয়ে।”
জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণকারীরা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—বাংলাদেশপন্থী রাজনৈতিক অবস্থানই হবে ভবিষ্যতের পথনির্দেশ।
১২৪ বার পড়া হয়েছে