বিশ্ব মা দিবস আজ: মাতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিবেদন

রবিবার, ১১ মে, ২০২৫ ৪:০৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আজ বিশ্ব মা দিবস। মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী এই দিনটি পালিত হয় মাতৃত্বের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে।
মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিন না থাকলেও, এই দিনটিকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় নানা আয়োজন। বাংলাদেশেও দিবসটি এখন নিয়মিতভাবে উদযাপিত হচ্ছে।
বিশ্ব মা দিবসের সূচনা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ১৮৭০ সালে সমাজকর্মী জুলিয়া ওয়ার্ড হোই ‘মাদারস ডে প্রোক্লেমেশন’ নামে একটি ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে এর ভিত্তি তৈরি করেন। পরে সমাজকর্মী আনা মেরি জার্ভিস তার মায়ের স্মরণে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেন। তার একান্ত প্রচেষ্টায় ১৯১৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেন। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিনটি পালন শুরু হয়।
বাংলা সাহিত্যেও মাকে নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য সাহিত্যকর্ম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মনে পড়া’, শামসুর রাহমানের ‘কখনো আমার মাকে’, হুমায়ুন আজাদের ‘আমাদের মা’, আল মাহমুদের ‘নোলক’ কিংবা কালিদাসের ‘মাতৃভক্তি’—সবই মাতৃত্বের অমোঘ টানকে তুলে ধরেছে।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও মায়ের মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ। ইসলাম ধর্মে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন—“আমি মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভধারণ করে। ... সুতরাং আমার শোকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শোকরিয়া আদায় করো।” (সুরা লোকমান: আয়াত ১৪)
বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় ‘মা’ শব্দটির উচ্চারণে রয়েছে অদ্ভুত মিল। অধিকাংশ ভাষায়ই শব্দটির শুরু ‘ম’ বা ‘এম’ ধ্বনিতে, যেমন ইংরেজিতে ‘মাম’, জার্মানে ‘মাট্টার’, ইতালিয়ান ভাষায় ‘মাদর’, চীনা ভাষায় ‘মামা’। ভাষাবিদ রোমান জ্যাকবসনের মতে, শিশু মাতৃদুগ্ধ পান করার সময় স্বাভাবিকভাবে মুখের ভেতর থেকে যে ধ্বনি বের হয়, তা অনেকটা ‘ম’ ধ্বনির মতো, এ কারণেই পৃথিবীর প্রায় সব ভাষায় মাকে ডাকার শব্দে ‘ম’ ধ্বনি দেখা যায়।
তবে মা দিবস শুধু একদিনের আয়োজন নয়। এটি মাকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার প্রতীকী বহিঃপ্রকাশ। জন্মের পর থেকে সন্তানকে আগলে রাখা, নিজের সবকিছু উৎসর্গ করা একজন মায়ের অবদানকে প্রতিদিনই স্মরণ করা উচিত বলে মনে করেন অনেকেই।
১৩২ বার পড়া হয়েছে