সর্বশেষ

জাতীয়

অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নের প্রতিবাদে উত্তাল সচিবালয়

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ৮ মে, ২০২৫ ৮:২৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে ১৯৭৯ সালের বিশেষ বিধান সংযোজন এবং সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মচারীদের জন্য অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ সচিবালয়।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের পেছনের ক্যান্টিন প্রাঙ্গণে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সভায় সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির, মহাসচিব নিজামউদ্দিন, নুরুল ইসলাম, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মনিরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ একাধিক কর্মচারী নেতা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সচিবালয়ের সব সংগঠনের সভাপতি ও মহাসচিবরাও সভায় অংশ নেন।

সভায় নেতারা বলেন, নিপীড়নমূলক আইন ও অভিন্ন নিয়োগবিধি কখনোই মেনে নেওয়া হবে না। তারা অভিযোগ করেন, এ ধরনের আইন প্রণয়ন করে সরকার কর্মচারীদের কণ্ঠরোধ করতে চায়, যা স্বৈরাচারী মানসিকতার প্রতিফলন। নেতারা এই আইনকে ‘আমলাদের কূটচাল’ আখ্যা দিয়ে দোসর আমলাদের অপসারণের দাবি জানান।

সভা শেষে ঘোষণা দেওয়া হয়, সব কর্মচারী সংগঠন এখন থেকে একত্র হয়ে যৌথভাবে দাবি আদায়ে কাজ করবে। পৃথকভাবে আর কোনো সংগঠন কর্মসূচি চালাবে না।

কর্মচারী নেতারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, আগামী রোববারের মধ্যে চাকরি আইনের বিশেষ বিধান সংশোধন এবং নন-ক্যাডারদের জন্য প্রস্তাবিত অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় সোমবার থেকে লাগাতার কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

নেতারা আরও চার দফা দাবি তুলে ধরেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মহার্ঘ ভাতা প্রদান এবং নতুন পে-কমিশন ঘোষণা।

সভা চলাকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার কোনো ‘নিপীড়নমূলক কালো আইন’ প্রণয়ন করবে না। এ ঘোষণায় উপস্থিত কর্মচারীরা কিছুটা আশ্বস্ত হলেও জানান, তারা সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

১২১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন