স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচারণা, স্বামীর যাবজ্জীবন

বুধবার, ৭ মে, ২০২৫ ১১:২২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফরিদপুরের একটি আদালত।
একইসঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নুর আলম ওরফে হুমায়ুন (৩৪) মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামের মো. শহীদ শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে মধুখালী উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে যৌতুকের জন্য স্ত্রী নুর আলমের হাতে শ্বাসরোধে নিহত হন। হত্যার পর নুর আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা এটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন। তারা নিহতের পরিবারের কাউকে বিষয়টি জানাননি। পরদিন ২৪ অক্টোবর সকালে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে নিহতের বাবা ও পরিবারের সদস্যরা এসে বাড়িতে কাউকে না দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ঘটনার পরদিন ২৫ অক্টোবর নিহত নারীর বাবা কুতুব উদ্দিন মোল্লা মধুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি এবং সকল আলামত পর্যালোচনা করে আদালত নিশ্চিত হন যে, নুর আলম তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই দণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
এই সংবাদ প্রতিবেদনটি মূল তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, তবে এর বাক্য গঠন ও উপস্থাপনে ভিন্নতা আনা হয়েছে যাতে এটি একটি সংবাদ প্রতিবেদন হিসেবে আরও আকর্ষণীয় হয়।
১২০ বার পড়া হয়েছে