পাকিস্তানে যুদ্ধ প্রস্তুতি: প্রথমবার নারীদের যুদ্ধকালীন উদ্ধার প্রশিক্ষণ

শনিবার, ৩ মে, ২০২৫ ৮:০২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তান জুড়ে যুদ্ধ প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। দেশজুড়ে সামরিক মহড়ার পাশাপাশি বেসামরিক প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে।
বিশেষ করে আজাদ কাশ্মীরের নাগরিকদের খাদ্য মজুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকার প্রশাসকরা আপদকালীন তহবিল সংগ্রহ করছেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথমবারের মতো নারী স্বেচ্ছাসেবকদের ‘যুদ্ধকালীন উদ্ধার’ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নারীদের আহতদের উদ্ধার, ধসে পড়া ভবন থেকে মানুষ সরিয়ে নেওয়া এবং অগ্নি নির্বাপণ প্রক্রিয়ার ওপর শিক্ষাদান করা হচ্ছে।
সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, শহরজুড়ে ১৬টি সাইরেন পয়েন্ট, ৩৮টি উদ্ধার ও পর্যবেক্ষণ চেকপয়েন্ট সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি পোস্ট পরিচালনা করছে সিভিল ডিফেন্স বিভাগ এবং ১৪টি রেসকিউ ১১২২। প্রায় ৩,৫০০ স্বেচ্ছাসেবক এবং যুবকদের আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধকালীন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যা রাওয়ালপিন্ডি ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ স্টেশন, রাজা বাজারের মিশন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল এবং সিভিল ডিফেন্স প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ডেনিস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলেও শিগগিরই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হবে।
জেলা সিভিল ডিফেন্স অফিসার তালিব হুসাইন জানান, আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভাগ সর্বদা প্রস্তুত। প্রধান সাইরেনগুলো—কোহিনূর মিলস, রেলওয়ে লোকো শেড, পীরওয়াধাই বাস স্ট্যান্ড, ভিকার-উন-নিসা কলেজ, আদিয়ালা জেল, গাওয়ালমান্ডি এবং রাট্টা আমরাল—আপডেট ও পুনঃসক্রিয় করা হয়েছে। সাইরেন বাজলেই স্বেচ্ছাসেবকরা চেকপয়েন্টে রিপোর্ট করতে বাধ্য।
প্রশিক্ষণের নেতৃত্বে রয়েছেন সিনিয়র প্রশিক্ষক নাসির কায়ানি, সাদাফ জাহুর এবং নারী প্রশিক্ষক হালিমা সাদিয়া। জেলা প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে কর্মীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করে ২৪ ঘণ্টা ডিউটির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সরঞ্জামগুলোও সক্রিয় রাখা হয়েছে।
এই প্রস্তুতি প্রমাণ করে, সম্ভাব্য সংঘাতের মুখে পাকিস্তান সামরিক ও বেসামরিক স্তরে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রেখেছে।
১২২ বার পড়া হয়েছে