সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন ঐতিহাসিক চুক্তি: পুনর্গঠনে বিনিয়োগ, খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার , ১ মে, ২০২৫ ৬:৪১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বুধবার ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপস্থিতিতে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের মূল্যবান খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার পাবে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনে তহবিল সহায়তা দেবে।

চুক্তির আওতায় ‘যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল’ নামে একটি যৌথ অর্থনৈতিক কাঠামো গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, “এই তহবিল রাশিয়ার প্রতি একটি বার্তা যে ট্রাম্প প্রশাসন স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেন গঠনের শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

চুক্তি অনুযায়ী, ইউক্রেন তার প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে অর্জিত রাজস্বের ৫০ শতাংশ এই তহবিলে দেবে এবং প্রথম ১০ বছর তা একমাত্র ইউক্রেনে বিনিয়োগ করা হবে। এরপর অংশীদারদের মধ্যে লাভ বণ্টনের সুযোগ রাখা হয়েছে। তহবিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের সমান ক্ষমতা থাকবে।

চুক্তিটি সম্পাদনের আগে দুই দেশের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে কঠোর দর-কষাকষি চলে। মার্চে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে এক উত্তপ্ত বৈঠকের পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়, যা এই চুক্তি বিলম্বের অন্যতম কারণ ছিল।

চুক্তির বিষয়ে ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিরিদেনকো বলেন, “এটি শুধু একটি বিনিয়োগ নয়, বরং একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে সহায়তা করবে।” তিনি আরও জানান, এই চুক্তি ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের পথে কোনো বাধা তৈরি করবে না।

এদিকে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মাইগাল টেলিগ্রামে এক বার্তায় বলেন, “আমরা আমাদের ভূগর্ভস্থ সম্পদ, অবকাঠামো ও প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখব।”

চুক্তির বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, যেসব ব্যক্তি বা রাষ্ট্র রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সমর্থন দিয়েছে, তারা এই তহবিল বা পুনর্গঠন প্রক্রিয়া থেকে কোনো সুবিধা পাবে না।

বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল, যেখানে পারস্পরিক স্বার্থ, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।

১০৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন