আপনি কি সঙ্গীর চেয়ে ঘুমকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন?
মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪ ১০:৪৪ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
কর্মজীবী দম্পতিদের জন্য ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই কঠিন। অনেক দম্পতির বেশিরভাগ সময় কাজের চাপে কাটে এবং যখন নিজেদের মধ্যে দুরত্ব বাড়ে, তখন অনেকেই বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন।
স্লিপ ডিভোর্স হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে দম্পতিরা তাদের চাহিদা এবং আরাম অনুযায়ী আলাদাভাবে ঘুমাতে পছন্দ করে। আমাদের বর্তমান জীবনধারা ও কর্মসংস্কৃতি এই ধারার জন্ম দিয়েছে। নাইট শিফট, এক সঙ্গীর নাক ডাকার অভ্যাস বা দেরি করে ফোনে থাকার অভ্যাস অন্য সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, তাহলে এর সমাধান হল স্লিপ ডিভোর্স।
নানা সুবিধার কারণে স্লিপ ডিভোর্সএর প্রবণতা এত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং দম্পতিরাও এটি অনুসরণ করছেন।
খাদ্য এবং ঘুম শরীরের কাজ করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি জিনিস। এই দুটি জিনিসের অভাব আপনার সম্পূর্ণ রুটিন, এমনকি একটি ভাল সম্পর্ককে ব্যাহত করতে পারে। স্লিপ ডিভোর্সকে সুখী দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি মনে করবেন না , বরং ভাবুন যে ব্যক্তি যদি মানসিক চাপমুক্ত থাকে তবে সে সহজেই সবকিছু পরিচালনা করতে পারে।
আলাদা করে ঘুমালে সঙ্গীর সাথে ঘনিষ্ঠতার অনুভূতি হারাতে শুরু করে। বেডরুম হল সেই জায়গা যেখানে আমরা আমাদের সঙ্গীর সাথে আমাদের ভালবাসা, অভিযোগ এবং আরও অনেক কিছু শেয়ার করি। যার কারণে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে, কিন্তু ঘুমের বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে এই জিনিসগুলির জন্য কোনও সময় থাকে না, যার কারণে সংযুক্তি কমতে শুরু করে এমনকি সম্পর্কে থাকাকালীনও বিচ্ছেদের অনুভূতি হয়।
ভিন্ন ঘরে ঘুমালে ধীরে ধীরে প্রেম এবং রোমান্স কমে যায়, যা আপনার বিবাহিত জীবনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং বিচ্ছেদের কারণও হতে পারে। ব্যক্তিগত জীবনের সাথে সম্পর্কিত যে কোনও ধরণের সমস্যা আপনার পেশাদার জীবনকেও প্রভাবিত করে।
স্লিপ ডিভোর্স কারণে কর্মজীবী দম্পতিদের জীবন থেকেও সুখ উধাও হয়ে যাচ্ছে। সারাদিন অফিসে কাটিয়ে তারপর গৃহস্থালির কাজ শেষ করে রাত হলেই একে অপরের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ পায়। এমন পরিস্থিতিতে আলাদা করে ঘুমানোর সিদ্ধান্ত দুজনের জন্যই কঠিন হতে পারে। এ কারণে পারস্পরিক কলহ বাড়তে থাকে।
ঘুম বিচ্ছেদের কারণে সঙ্গীও নিরাপত্তাহীন বোধ করতে পারে। আসলে, বিয়ের পর বিছানা ভাগাভাগি করা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার, কিন্তু একজন সঙ্গী যদি ভালো ঘুমের জন্য আলাদাভাবে ঘুমাতে চায়, তাহলে অন্যজন সেটাকে দূরত্ব তৈরির অজুহাত হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। তারা সবসময় ভয় পায় যে তাদের সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি প্রবেশ করেছে। যার জেরে অহেতুক উত্তেজনা ও মারামারি লেগেই থাকে।
২২৪ বার পড়া হয়েছে