সর্বশেষ

ফিচার

কোটা থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, ঘটনাক্রম (পর্ব-১)

এইমাত্র ডেস্ক
এইমাত্র ডেস্ক

বৃহস্পতিবার , ৮ আগস্ট, ২০২৪ ৬:০৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের আন্দোলন দেশের ইতিহাসের অন্যতম আন্দোলনগুলোর মধ্যে একটি। তবে এই একই দাবিতে ২০১৮ সালেও আন্দোলন হয়েছিলো। আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ের ঘটনাক্রম নিয়ে সাজানো হয়েছে প্রথম পর্ব।

৩১ জানুয়ারি ২০১৮


সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পুনর্মূল্যায়ন চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও দুই সাংবাদিকের পক্ষে রিট দায়ের করেন।


রিট দায়ের করে আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন বলেন, ১৯৭২ সালে এক নির্বাহী আদেশে সরকারি, বেসরকারি, প্রতিরক্ষা, আধা সরকারি এবং জাতীয়করণ করা প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা ও ১০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য কোটা প্রবর্তন করা হয়।


বর্তমানে সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান।



১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮


কোটা সংস্কারের পক্ষে-বিপক্ষে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করে দুটি পক্ষ।


  • ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদের’ ব্যানারে কয়েক শ চাকরিপ্রার্থী কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। 


  • আর সংস্কার প্রস্তাবের নামে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতাকর্মীরা।


তবে পুলিশ সেখানে কাউকেই দাঁড়াতে দেয়নি। আন্দোলন চালিয়ে নিতে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।



৯ এপ্রিল, ২০১৮


এর আগে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৭ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এরপর ৪ মার্চ মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারীরা ১৩ মার্চ পর্যন্ত সরকারকে কোটা সংস্কারের সময় বেঁধে দেয়া হয়।


পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিলো:


  • কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ ভাগ থেকে ১০ ভাগে নিয়ে আসা
  • কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য থাকা পদগুলোতে মেধায় নিয়োগ দেওয়া
  • কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না রাখা
  • সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ এবং
  • চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা-সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা।


৯ এপ্রিল কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে বেলা দুইটার পরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে হাজারো শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী গণপদযাত্রা করে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে বেলা তিনটায় শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেন। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন, জাতীয় সংসদের অধিবেশন থেকে ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাবেন। রাত পৌনে আটটায় আকস্মিকভাবে শিশুপার্কের দিক থেকে ১৫-২০ প্লাটুন দাঙ্গা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে করতে শাহবাগ মোড়ের দিকে আসতে থাকে। তারা আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা শুরু করে। পুলিশের আকস্মিক হামলায় আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দুই ভাগ হয়ে যান।


এরপর থেকেই মূলত আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের ওপর বারবার হামলা করে ছাত্রলীগ। ফলে আন্দোলন ক্রমশ সহিংস হয়ে ওঠে।


১১ এপ্রিল, ২০১৮


জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


৪ অক্টোবর, ২০১৮


কোটা প্রথা বাতিল প্রসঙ্গে সরকারের পরিপত্র জারি।


পরবর্তীতে ২০২১ সালে পরিপত্র বাতিল চেয়ে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট দায়ের করেন। ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুলে ওই পরিপত্র কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে জানতে চান।

১৮০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
ফিচার নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন