বান্দরবানে অনুষ্ঠিত হলো ‘হিল হাফ ম্যারাথন সিজন-২’

শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:১৩ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবানে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘হিল হাফ ম্যারাথন সিজন-২’।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) ভোরে রোমাঞ্চকর এই ইভেন্টের আয়োজন করে বান্দরবান হিল রানার্স, সহযোগিতা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং বান্দরবান পৌরসভা।
ম্যারাথনের যাত্রা শুরু হয় বান্দরবান সদরের ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ থেকে। এরপর চিম্বুক সড়কের ঘুরে-ঘুরে যাওয়া, উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ পেরিয়ে দৌড় শেষে পুনরায় রাজার মাঠেই প্রতিযোগিতা সমাপ্ত হয়। ভোরের নির্মল বাতাস আর পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে ছিল অ্যাডভেঞ্চার ও উদ্দীপনার এক অপূর্ব সম্মিলন।
এবারের ম্যারাথনে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ৫০০ জনেরও বেশি দৌড়বিদ, যাদের মধ্যে ছিলেন ৬৫ জন নারী এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কিশোর-কিশোরী। তিনটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় – ১০ কিলোমিটার, ২১.১ কিলোমিটার (হাফ ম্যারাথন) এবং ২১.১ কিলোমিটার বেটার রান।
প্রতিযোগিতার ফলাফল:
১০ কিমি বিভাগ
পুরুষ: মো. জাকির হোসেন – ৪৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ড
নারী: মাহাবুবা মারিয়া – ১ ঘণ্টা ১৪ মিনিট ১০ সেকেন্ড
২১.১ কিমি হাফ ম্যারাথন বিভাগ
পুরুষ: মামুন আহম্মেদ – ১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড
নারী: তাবাছুম – ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ৭ সেকেন্ড
২১.১ কিমি বেটার রান বিভাগ
পুরুষ: জসীম উদ্দিন – ১ ঘণ্টা ৩৩ মিনিট ৪ সেকেন্ড
নারী: দিলারা আক্তার – ২ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ২১ সেকেন্ড
উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ:
প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. নাছিরুল আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি দৌড়বিদদের শুভেচ্ছা জানান এবং আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। উদ্বোধনী আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান হিল রানার্স-এর আহ্বায়ক শহিদুর রহমান (সোহেল) এবং স্থানীয় ক্রীড়াসংগঠকগণ।
প্রতিযোগিতা শেষে সকাল ১০টায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেন বান্দরবান রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রাকিব ইবনে রেজওয়ান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর জোন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ হুমায়ুন রশীদ, জিএসও-২ (ইন্টেলিজেন্স) মেজর পারভেজ রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ সরদার, প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।
আয়োজকদের বক্তব্য:
আয়োজক শহিদুর রহমান জানান, “এই হাফ ম্যারাথনের মূল লক্ষ্য শুধু প্রতিযোগিতা নয়, বরং পাহাড়ের সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা এবং যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রেখে সুস্থ জীবনের দিকে উদ্বুদ্ধ করা।”
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আয়োজনের ইচ্ছা রয়েছে, যদি যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যায়।
২০৪ বার পড়া হয়েছে