সর্বশেষ

আইন-আদালত

শহিদুল হত্যা মামলা: সাবেক মন্ত্রীসহ ২৩১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:১২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার শহিদুল ইসলাম শহিদ হত্যা মামলায় সাবেক তিন মন্ত্রীসহ মোট ২৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে দাখিলকৃত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

বাদীর নারাজি আবেদন খারিজ
মামলার বাদী শহিদুলের ভাই শফিকুল ইসলাম তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন। তবে আদালত আবেদনটি খারিজ করে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন বলে নিশ্চিত করেন মামলার সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী।

চার্জশিটে কী আছে?
চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফয়সাল গত ৩০ জুলাই আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। এতে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুযায়ী ২৩১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

চার্জশিটে উল্লেখযোগ্য যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম রয়েছে, তারা হলেন—

সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী
আ জ ম নাছির উদ্দীন
সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ: মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবদুচ ছালাম, দিদারুল আলম দিদার, এস এম আল মামুন, নোমান আল মাহমুদ
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী
সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হক, নুর মোস্তফা টিনু, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, জিয়াউল হক সুমন, নুরুল আজিম রনি প্রমুখ।
কী ঘটেছিল ৩ আগস্ট?
২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় বহদ্দারহাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ ঘটে। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়, ব্যবহৃত হয় পিস্তল, শর্টগানসহ ভারী অস্ত্র।

ওই সময় অটোরিকশাচালক শহিদুল ইসলাম শহিদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

হামলার প্রেক্ষাপট
আন্দোলনকারীরা সেদিন ছাত্র-জনতার একটি মিছিল নিয়ে ষোলশহর এলাকার দিকে এগোলে সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রীর বাসভবনে হামলার অভিযোগ ওঠে। এরপর বহদ্দারহাটে সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসার সামনেও সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ বলছে, এই সংঘর্ষের সময়ই শহিদুল গুলিবিদ্ধ হন।

চার্জশিটের সাক্ষী ও তদন্ত
চার্জশিটে মোট ১২৮ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে—যার মধ্যে রয়েছেন:

৯৯ জন পুলিশ সদস্য
২৮ জন সাধারণ সাক্ষী
১ জন চিকিৎসক
এসআই ফয়সাল বলেন, “দীর্ঘ তদন্ত শেষে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এই চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়।”

এটি চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে চট্টগ্রাম মহানগরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে

১২৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আইন-আদালত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন