সর্বশেষ

আইন-আদালত

“আমি বলেছি পোড়াতে” শেখ হাসিনার নির্দেশনার অডিও ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:২১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথিত এক বক্তব্য নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ওই ফোনালাপের অডিও উপস্থাপন করে প্রসিকিউশন পক্ষ দাবি করেছে, আন্দোলন দমনকালে শেখ হাসিনা নিজেই আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এক পর্যায়ে অডিওতে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, "আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে। ওপেন নির্দেশনা দিয়েছি। এখন লিথাল ওয়েপন (মারণাস্ত্র) ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সেখানে গুলি করবে।"
তিনি আরও বলেন, “আমি বললাম, যা যা পোড়াতে... ওরা পুড়িয়ে দিয়েছে সেতু ভবন।”

এই অডিও ক্লিপটি আন্দোলন চলাকালীন সময়ের জুলাই-আগস্ট মাসে রেকর্ড হয়েছে বলে জানানো হয়। প্রসিকিউশনের দাবি, এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে দমননীতির অংশ হিসেবে আগুন দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এদিন আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৫৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। তিনি তার জবানবন্দিতে জানান, শেখ হাসিনার কথোপকথন সংবলিত ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং তিনটি মোবাইল নম্বরের কল রেকর্ড জব্দ করা হয়েছে।

ফোনালাপে আরও উল্লেখ করা হয়, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন, বিটিভি ও বিটিআরসি ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং সেতু ভবনেরও ক্ষতির ঘটনা। ওই সময় শেখ হাসিনা বলেন, “বিটিআরসি-বিটিভি পুড়িয়ে দিয়েছে। এখন ইন্টারনেট বন্ধ। মেশিনপত্র সব পুড়ে গেছে।”

এসময় শেখ তাপস তাকে আশ্বস্ত করেন, রাস্তায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং বলেন, “রাতের বেলায় আরও ব্যাপক আক্রমণ হবে।” উত্তরে শেখ হাসিনা জায়গার নাম জানতে চাইলে তিনি বনানী ও গুলশানের কথা উল্লেখ করেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আইজিপি ও মামলার আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, যিনি আগেই রাজসাক্ষী হয়েছেন। তার উপস্থিতিতেই সাক্ষ্য দেন সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা।

প্রসিকিউশনের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, “ফোনালাপে শেখ হাসিনার বক্তব্য স্পষ্ট—তিনি নিজেই আগুন দেওয়ার নির্দেশ দেন। যদিও কাঙ্ক্ষিত স্থাপনা না পুড়ে সেতু ভবন পুড়ে যায়। তবু নির্দেশনার দায় তার।”

১১৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আইন-আদালত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন