সর্বশেষ

বিনোদন

প্রথমবারের মতো জাতীয় স্বীকৃতি পেল লালনের তিরোধান দিবস

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক

বৃহস্পতিবার , ২৮ আগস্ট, ২০২৫ ১১:১৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দার্শনিক বাউল সাধক ফকির লালনের তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “একটি জাতিকে সাংস্কৃতিকভাবে দুর্বল করতে হলে প্রথমে তার নিজস্ব সংস্কৃতি ও চিন্তার জায়গা থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করতে হয়। আমাদের উপনিবেশিক ঐতিহ্যে সেই প্রভাব বহুদিন ধরে রয়েছে। লালনের মতো দার্শনিক ও সংগীতশিল্পীকে আমাদের মূলধারার ‘উচ্চশ্রেণির সংস্কৃতি’র বাইরে রাখা হয়েছে শুধু তার কণ্ঠ ও চেতনার ভিন্নতার কারণে। তাকে ‘ফোক’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে—যাতে মূলধারার ‘হাই আর্ট’ হিসেবে স্বীকৃতি না পায়।”

তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হওয়া উচিত জনগণের চর্চায় গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিকমানের সংস্কৃতিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া ও উদযাপন করা। এ ধরনের উদযাপন আমাদের জাতীয় আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় গড়ে তুলতে সহায়তা করে।”

লালনের দিবসকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের দিবস নিয়েও আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন ফারুকী। তিনি জানান, চিত্রশিল্পী এস. এম. সুলতানের জন্মদিনকেও ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস ঘোষণা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ফারুকী আরও বলেন, “আমরা হুমায়ুন আহমেদের মতো আধুনিক সাহিত্যিকদের প্রভাব নিয়ে কথা বলেছি, যে প্রভাব আমাদের সাহিত্যে অনন্য। একইসঙ্গে আলোচনা করেছি বাংলাদেশের রক মিউজিক ও আইকনিক শিল্পীদের নিয়ে। যেমন আইয়ুব বাচ্চু—যার গান দেশের প্রতিটি এলাকায় পৌঁছেছে। তার মতো একজন শিল্পীর জন্মদিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করতে আমাদের কতদিন অপেক্ষা করতে হবে?”

পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, “লালনের মাধ্যমে আমরা রবীন্দ্র-নজরুলের বাইরে তাকাতে শুরু করেছি। এটি কেবল শুরু। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সমকালীন সাংস্কৃতিক কণ্ঠগুলোকেও একদিন আমরা যথাযোগ্যভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানাব।”

১১৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
বিনোদন নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন