সারাদেশ

কুমারখালীতে জিয়া মঞ্চ নেতার উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ বিএনপির

কুমারখালী প্রতিনিধি
কুমারখালী প্রতিনিধি

শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫ ৪:১৩ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জিয়া মঞ্চের নেতা রাকিবের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি।

উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আফজাল হোসাইন এবং তাঁর ছেলে পৌরসভার ২ নম্বর যুব জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শোভনের বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে এই বিক্ষোভ করে তারা।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল ৬ টার দিকে কুষ্টিয়া – রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী বাসস্টান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকায় এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। এর আগে বিকেল ৫টার দিকে গোলচত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ বের করেন উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক শত নেতাকর্মী। প্রতিবাদ বিক্ষোভটি স্টেশনবাজার, থানামোড়, গণমোড়, হলবাজার প্রদিক্ষণ শেষে গোল চত্বরে এসে শেষ হয়।

উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রুবেল হাসান রজনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি কিয়াম বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক ঝন্টু বিশ্বাস ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জামাল বিশ্বাস, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হাসান কাজল, যদুবয়রা সার্চ কমিটির সদস্য ফারুক হোসেন, যদুবয়রা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, রাকিব হোসেন পৌর এলাকায় গাড়ি পার্কিংয়ের ইজারা নিয়েছেন। ১৬ জুলাই বিকেলে কাজীপাড়া রেলগেট এলাকায় বৈধ টোল আদায় করছিলেন। কিন্তু উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আফজাল হোসাইন এবং তাঁর ছেলে পৌরসভার ২ নম্বর যুব জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শোভনের রাকিবের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেয়ে তাঁরা রাকিবের সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। থানায় মামলা করা হলেও পুলিশ আসামি ধরছে না। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে খুব শীঘ্রই থানা ঘেরাও করা হবে।

তারা আরো বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই আফজাল ও শোভন কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা এবং চাঁদাবাজি করে আসছে। বিএনপি কুমারখালীতে আফজালকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

উল্লেখ্য, এক বছরের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রায় ২১ লাখ ৬৪ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছেন রাকিব হোসেন। ১৬ জু্লাই জামায়াত নেতা শোভনের এক অটোচালক বন্ধু কাজীপাড়া আসেন। এ সময় রাকিবের লোকজন রসিদ দিয়ে ২০ টাকা দাবি করেন। এ সময় ওই চালক টাকা না দিয়ে শোভনের নম্বরে কল দেন। শোভন তাঁর লোকজন নিয়ে এলে ইজারাদার রাকিবের সমর্থকদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। পরে তারা অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে রাকিব ও শোভন আহত হয়। এনিয়ে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ ঘটনায় ১৭ জুলাই রাকিবের বোন রুমানা আক্তার নিশি শোভনকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নামে মামলা করেন। আর ১৮ জুলাই জামায়াতের যুবনেতা শোভন আহত রাকিবকে প্রধান করে ৫ জনের নামে পাল্টা মামলা করেন। তবে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উভয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক বিল্লাল হোসেন খাঁন বলেন, ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

১৪২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন