মধ্যরাতে খুলনা বিভাগের সব থানায় চালু হলো অনলাইন জিডি

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫ ৪:২৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পুলিশি সেবা ডিজিটালাইজেশন ও সহজীকরণের অংশ হিসেবে শুধু হারানো নয়, এখন থেকে খুলনা বিভাগের ৬৪টি থানায় অনলাইনে সব ধরনের জিডি করা যাচ্ছে। গতকাল রোববার (২০ জুলাই) মধ্যরাত ১২টা থেকে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম।
ফলে দিনে-রাতে যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে বসেই কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমে যে কোনো ধরনের জিডি করা যাবে। তবে অনলাইন জিডি করার জন্য প্রথমে গ্রাহককে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর থেকে তিনি যে কোনো বিষয়ে জিডি করতে পারবেন।
রবিবার বিকেলে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল হক।
তিনি বলেন, রবিবার দিবাগত মধ্যরাত ১২টায় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে জিডি কার্যক্রমের উদ্বোধন হচ্ছে।
অনলাইন জিডির সুবিধা সম্পর্কে ডিআইজি বলেন, খুব সহজে নাগরিক তার অভিযোগ পুলিশকে জানাতে পারবেন। এছাড়া অভিযোগের সর্বশেষ অবস্থাও জানা যাবে। তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন অভিযোগকারী। এছাড়া অনলাইনের জিডির কপিও প্রিন্ট করা যাবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। অনলাইনের জিডিতে থানার সিল-স্বাক্ষরের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র যেটি অনলাইন জিডিতে উল্লেখ থাকবে তাতেই কাজ করা যাবে।
অনলাইনের জিডির জন্য সংশ্লিষ্ট নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র, সচল মোবাইল নম্বর ও স্মার্টফোন এবং লাইভ ছবি লাগবে। প্রথমে প্লে স্টোর থেকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এরপর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পরে তা থেকে যে কোনো ধরনের জিডি করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, আগে শুধুমাত্র কোনো কিছু হারিয়ে গেলেই তার জন্য অনলাইন জিডি করা যেত। এখন সব ধরনের জিডির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে আর পুলিশের কাছে তথা থানায় যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। কেউ হুমকি দিলেও ঘরে বসেই করা যাবে জিডি। তবে কেউ মিথ্যা জিডি করলেও তার জন্য রয়েছে কঠোর আইন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই সেবা নিতে Online GD অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে। রেজিস্ট্রেশন বা অনলাইন জিডি করতে সমস্যা হলে ০১৩২০০০১৪২৮ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে, যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। অনলাইন জিডির মাধ্যমে অভিযোগকারী তার অভিযোগের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবে। তদন্তকারী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে সাধারণ ডায়েরি করা যায়। দূরবর্তী এলাকা থেকে, যাতায়াত খরচ ও সময় অপচয় বা লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন পড়ে না। অনলাইন সিস্টেমে প্রতিটি জিডি ট্র্যাক করা যায়। নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রামের মানুষ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারেও অনলাইন জিডি সহায়তা নিতে পারবে।
১৬৭ বার পড়া হয়েছে