ধর্ম

কোরআনের পিঁপড়া-প্রসঙ্গ, যেখানে বিজ্ঞানের প্রমাণ মেলে

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
পিঁপড়া—আকারে ক্ষুদ্র, তবে কোরআনের দৃষ্টিতে এদের গুরুত্ব অসামান্য। আল-কোরআনের ২৭তম সূরা "আন-নামল" অর্থাৎ "পিঁপড়া" নামেই পরিচিত, যেখানে নবী সুলাইমান (আ.) ও একটি পিঁপড়ার কথোপকথনের অনন্য একটি ঘটনা উঠে এসেছে।

শুধু ধর্মীয়ভাবেই নয়, এ বর্ণনা আজকের আধুনিক বিজ্ঞানের জন্যও এক বিস্ময়।

নবী সুলাইমান (আ.) ছিলেন এমন একজন নবী, যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে জিন, পাখি-পশু ও অন্যান্য প্রাণীর ভাষা বুঝবার বিশেষ ক্ষমতা পেয়েছিলেন। একবার তিনি বিশাল বাহিনী নিয়ে একটি উপত্যকা অতিক্রম করছিলেন, যেখানে ছিল পিঁপড়ার বসতি। তখন একটি পিঁপড়া তার সঙ্গীদের সতর্ক করে বলে:

“হে পিঁপড়ারা! তোমরা নিজেদের গৃহে প্রবেশ কর, সুলাইমান ও তাঁর সৈন্যবাহিনী তোমাদের না পিষে ফেলে—অজান্তে।”
(সূরা আন-নামল, আয়াত ১৮)
এই আয়াতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এখানে ‘নামলাহ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে—যা আরবি ভাষায় স্ত্রীলিঙ্গ নির্দেশ করে। আয়াতের ক্রিয়াপদগুলোও স্ত্রীলিঙ্গ অনুযায়ী বিন্যস্ত। কোরআনের এই ভাষাগত সূক্ষ্মতা আধুনিক বিজ্ঞান যা বলছে, তার সঙ্গে বিস্ময়করভাবে মিলে যায়।

বিজ্ঞানের চোখে পিঁপড়ার সমাজব্যবস্থা
আধুনিক প্রাণিবিজ্ঞান বলছে, পিঁপড়ার সমাজ মূলত তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত—রানী পিঁপড়া, পুরুষ পিঁপড়া এবং শ্রমিক পিঁপড়া। আর আশ্চর্যের বিষয়, সব শ্রমিক পিঁপড়া নারী। এনারাই বাইরে খাবার খুঁজে আনে, বাসা গড়ে তোলে, এবং বিপদ এলে অন্যদের সতর্ক করে।

এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে:

“Wingless males do not participate in brood care and active foraging outside the nest.”
অর্থাৎ, ডানাবিহীন পুরুষ পিঁপড়ারা বাসার কাজ কিংবা বাইরে খাবার সংগ্রহে অংশ নেয় না।
ফলে কোরআনে যে পিঁপড়াটি সতর্কবার্তা দিয়েছিল, সে যে একজন নারী শ্রমিক পিঁপড়া—তা কেবল কোরআনের ভাষাগত ভিন্নতা থেকেই নয়, আধুনিক বিজ্ঞান থেকেও সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত।

গায়েবের জ্ঞান ও নবীর ভূমিকা
এই আয়াতে আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, পিঁপড়ারা বলে—“অজান্তে পিষে ফেলা”, অর্থাৎ নবী সুলাইমান (আ.) সেই মুহূর্তে জানতেন না তাদের নিচে পিঁপড়ার বসতি রয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে, আল্লাহ ছাড়া কেউ গায়েব (অদৃশ্যের খবর) জানেন না—এমনকি কোনো নবীও নয়, যদি না আল্লাহ তা প্রকাশ করেন।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক দিক হলো—পুরুষ পিঁপড়াদের সাধারণত ডানা থাকে, যা দিয়ে তারা উড়তে সক্ষম। কিন্তু নারী শ্রমিক পিঁপড়ারা ডানাবিহীন এবং মাটির নিচে থাকাই তাদের স্বভাব। কোরআনে বলা হয়েছে, পিঁপড়ারা গৃহে প্রবেশ করেছিল, অর্থাৎ মাটির নিচে আশ্রয় নিয়েছিল। এটি আবারও নিশ্চিত করে, এখানে যে পিঁপড়াটির কথা বলা হয়েছে, সে ছিল নারী শ্রমিক পিঁপড়া।

১১৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
ধর্ম নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন