রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের জন্য নতুন ৫ পরিবর্তন

রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫ ৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
অর্থবছরের শুরুতেই করদাতাদের জন্য শুরু হয়েছে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার সময়কাল। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
তবে এবারের রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের কয়েকটি বিষয়ে নতুন করে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পাঁচটি খাতে গুরুত্বপূর্ণ কর পরিবর্তন আনা হয়েছে।
যদিও এ বছরও ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত থাকছে— অর্থাৎ সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয় করমুক্ত—তবে নতুন পাঁচটি পরিবর্তন করদাতাদের কর হিসাব ও রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলবে।
দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন পরিবর্তন এসেছে:
১. ভাইবোনকে দানে কর লাগবে না
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা এখন থেকে তাঁদের আপন ভাই বা বোনকে অর্থ বা সম্পদ দান করলে তা করমুক্ত থাকবে। আগে এই সুবিধা কেবল স্বামী-স্ত্রী, মা-বাবা ও সন্তানের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এমনকি প্রবাসে থাকা ভাইবোনের পাঠানো অর্থও করমুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
২. কৃষি আয়ে করমুক্ত সীমা বাড়ল
ব্যক্তি করদাতারা কৃষি থেকে বছরে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর কোনো কর দেবেন না। আগে এই সীমা কম ছিল। শহরের অনেকে যাঁরা কৃষিজমি কিনে কিংবা লিজ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করছেন, তাঁদের জন্য এটি বড় সুবিধা।
৩. বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ছাড় বেড়েছে
চাকরিজীবীদের করযোগ্য আয় নির্ধারণে যেসব ভাতা করমুক্ত থাকে, সেসবের সর্বোচ্চ বাদযোগ্য সীমা এবার বাড়ানো হয়েছে। আগে যেখানে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত বাদ দেওয়া যেত, এখন তা বেড়ে হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা।
৪. পেনশনের আয় করমুক্ত
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আওতায় থাকা স্কিম থেকে প্রাপ্ত আয় করমুক্ত থাকবে। ফলে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুবিধাভোগীরা কোনো কর ছাড়াই এ সুবিধা নিতে পারবেন। বর্তমানে এই স্কিমে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন।
৫. মরণব্যাধির চিকিৎসা খরচ করমুক্ত
চাকরিজীবী করদাতারা যদি ক্যানসার, কিডনি, লিভার, হার্ট, ব্রেইন সার্জারি বা কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য কোনো অর্থ পান, তাহলে সে অর্থ করের আওতামুক্ত থাকবে।
কর পরামর্শদাতাদের মতে, এসব পরিবর্তনের ফলে কিছুটা স্বস্তি পাবেন ব্যক্তি করদাতারা। তবে রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় নতুন নিয়মগুলো মাথায় রেখে সঠিকভাবে হিসাব-নিকাশ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
১২৬ বার পড়া হয়েছে