দৌলতপুরে মসজিদভিত্তিক মকতব, শতাধিক শিশু-কিশোরের দ্বীনি শিক্ষা

শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫ ৪:০৪ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ কান্দির পাড়ায় স্থানীয় প্রধান জামে মসজিদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি মকতব বর্তমানে এলাকার শতাধিক শিশু-কিশোরের জন্য ইসলামী শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
পাঁচ বছর আগে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানটি আজ কুরআন ও হাদিস শিক্ষায় আলোকিত করছে গোটা অঞ্চল।
মকতবে বর্তমানে ৯০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে আসরের নামাজের পর কুরআন ও হাদিসের পাঠ গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী এখান থেকে কুরআন শিক্ষা শেষ করেছে। শুধু ধর্মীয় জ্ঞানেই নয়, নৈতিকতা, শৃঙ্খলা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার দিক থেকেও শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে মকতবের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। মেধা ও নিষ্ঠার ভিত্তিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, “মসজিদকেন্দ্রিক ধর্মীয় শিক্ষা সমাজে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিশুদের ছোটবেলা থেকেই কুরআনের আলোয় আলোকিত করা আমাদের দায়িত্ব।”
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের জন্য পরিবেশিত হয় মধ্যাহ্নভোজ।
মকতবের শিক্ষার্থী মারিয়া জানান, “স্কুলের পাশাপাশি কুরআন শিক্ষা আমাদের জীবনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে আমরা এখানে কুরআন ও হাদিস পড়ি।”
অভিভাবক মুজাম্মেল হক বলেন, “আমার দুই মেয়ে এই মকতবে পড়ে। বাড়ির পাশে এমন দ্বীনি শিক্ষার সুযোগ পেয়ে আমরা খুবই উপকৃত।”
মসজিদের খতিব ও মকতবের শিক্ষক হজরত মাওলানা মেহেদী হাসান জানান, “শুরুতে মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু করেছিলাম। আল্লাহর রহমত ও এলাকাবাসীর আন্তরিক সহায়তায় আজ এই মকতব শতাধিক শিক্ষার্থীর দ্বীনি শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।”
স্থানীয়দের মতে, এলাকাবাসীর ঐক্য, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা হোসেনাবাদ কান্দির পাড়াকে একটি আদর্শ ইসলামিক শিক্ষাবান্ধব গ্রামে রূপান্তরিত করেছে। তারা আশা করছেন, ভবিষ্যতে এই মকতব আরও বড় পরিসরে দ্বীনি শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
১১২ বার পড়া হয়েছে