ব্যারিষ্টার তারেক বিন আজিজ কুষ্টিয়ার এক সূর্যসন্তান

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সাবেক (অধ্যক্ষ) প্রখ্যাত সার্জন অধ্যাপক ডা: আশরাফ উল হক দারার ছোট ভাই। ব্যারিস্টার তারেক বিন আজিজ কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে ১৯৮৮ সালে খুলনা বিভাগে মেধাস্থান দখল করেন, এরপর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ১৯৯০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় বোর্ড স্ট্যান্ড করেন।পরবর্তীতে দেশ সেরা বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ ভর্তি হন।

অদম্য মেধাবী তারেক বিন আজিজ স্কুল জীবন থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও মেধাবীদের ছাত্রদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু করেন।

তারই ধারাবাহিকতায় ব্যারিস্টার তারেক বিন আজিজ হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় পযার্য়ের একজন সংগঠক। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব অত্যন্ত সুনাম ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেন।

দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ব্যারিস্টার তারিকের বলিষ্ঠ ও চৌকষ নেতৃত্বে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার শাসনামলের মধ্যেও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে নিয়ে যান এক অনন্য উচ্চতায়।
তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতক্ষ মদদে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের বাহিনী দ্বারা বারবার আক্রমণের শিকার হন।

পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে ১৯৯৭ সালে ইউকসু নির্বাচনে '"ভিপি" পদে "তারেক- কামাল-কল্লোল পরিষদে" নির্বাচন করেন এবং বুয়েট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে তুমুল জনপ্রিয়তায় ভিপি নির্বাচিত হন।

ব্যারিস্টার তারেক বুয়েট থেকে ধাতু বিদ্যা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ালেখা শেষ করেন। পরবর্তীতে ২০০১ বিএনপি সরকার গঠন করলে ব্যারিস্টার তারেক বিন আজিজের উপর অর্পিত বিভিন্ন দায়িত্ব তিনি অত্যন্ত ন্যায়, নিষ্ঠার ও সুনামের সাথে পালন করেন এবং ২০০৫ সালে দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে ব্যারিস্টারি পড়তে লন্ডনে যান।

সেখান থেকে ব্যারিস্টারি পড়ার পাশাপাশি ১/১১ এর সেনা সমর্থিত সরকার কর্তৃক অমানুষিক নির্যাতনের শিকার দেশনায়ক তারেক রহমানের চিকিৎসা ও বিদেশে প্রেরণে সহায়তায় প্রদানে ব্যারিস্টার তারেক অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। লন্ডনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিভিন্ন দায়িত্ব পালনসহ যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হন দেশপ্রেমী এই ব্যক্তিত্ব। সততা, নিষ্ঠা,পরিশ্রম, দেশপ্রেম এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত ব্যারিস্টার তারেক বিন আজিজের রয়েছে দীর্ঘ তিন যুগের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার।

প্রায় বিশ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে নিজ জন্মভূমি বাংলাদেশে অচিরেই ফিরবেন তিনি। পাহাড় সমান কষ্ট বুকে চেপে নির্বাসিত জীবন থেকে মমতাময়ী মায়ের বুকে ফিরবেন তার সুযোগ্যসন্তান।

ইনশাআল্লাহ তার সুদক্ষ নেতৃত্ব, অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে ফিরবে শীতলতার কোমল হাওয়া, তৃণমূল পর্যায়ে বিভক্তি, সমন্বয়হীনতা দূর হবে। অত্যাচারী হানিফ-ইনু-আতার কশাইখানা খ্যাত জনপদ কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসন আবারও মুখরিত হবে আমজনতার পদচারনায়। কুষ্টিয়ার উল্লসিত আপামর জনসাধারণ এখন অধির আগ্রহে তার কৃতিসন্তান তারেক বিন আজিজকে বরণের প্রতীক্ষায়, সুস্বাগত জনতার সাদমানের নেতাকে।