সাত বছর জুহি চাওলাকে উপেক্ষা করেছিলেন আমির খান

কিন্তু সম্প্রতি রাজ শামানির পডকাস্টে নিজের জীবনের এক অনুতাপভরা অধ্যায়ের কথা তুলে ধরেন তিনি—যেখানে তিনি সহকর্মী ও দীর্ঘদিনের বন্ধু জুহি চাওলার সঙ্গে ছোট একটি ঘটনা থেকে শুরু হওয়া মনোমালিন্যে টানা সাত বছর কথা না বলে কাটিয়েছেন।

আমির বলেন, “আমি যখন কষ্ট পাই, তখন চুপ করে যাই। আগে ভাবতাম এটাই মর্যাদার প্রকাশ। কিন্তু এখন বুঝি, অনেক সময় নীরবতাও হয়ে উঠতে পারে একধরনের নিষ্ঠুরতা।”

এই দূরত্বের সূচনা হয়েছিল ১৯৯৭ সালে ‘ইশক’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়। “খুবই তুচ্ছ এক বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল,” স্মৃতিচারণ করছিলেন আমির। “আজকে মনে হলে হাস্যকর লাগে, কিন্তু তখন বিষয়টি আমাকে এতটাই আঘাত করেছিল যে, আমি সাত বছর পর্যন্ত জুহির সঙ্গে কোনো কথাই বলিনি। এমনকি একসঙ্গে কাজ করলেও ওকে উপেক্ষা করতাম, যেন তার অস্তিত্বই নেই।”

জুহি চাওলা তখনও বারবার চেষ্টা করেছিলেন সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে। কিন্তু আমিরের কথায়, “সে বহুবার কথা বলার চেষ্টা করেছে। আমার প্রাক্তন স্ত্রী রীনাও বারবার বলেছিল—‘তুমি ঠিক করছ না, ওর সঙ্গে কথা বলো।’ কিন্তু আমি তখন একগুঁয়ে হয়ে ছিলাম, আমার অহং আমাকে আটকে রেখেছিল।”

শুধু জুহির সঙ্গে সম্পর্কেই নয়, এই মানসিক বাধা প্রভাব ফেলেছে আমিরের ব্যক্তিগত জীবনেও। স্ত্রী কিরণ রাওয়ের সঙ্গে একবার ছোট একটি কথার খুঁটিনাটি নিয়ে তিনি টানা চার দিন কথা না বলে কাটান। “আমি ভাবছিলাম কিছুটা সময় দরকার, কিন্তু যখন দেখলাম কিরণ কাঁদছে, তখন বুঝলাম আমার নীরবতাই ওকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে। সেদিন আমি নিজেকেই প্রশ্ন করেছিলাম—আমি কী করছি?”

সময় গড়িয়েছে। রীনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর, একদিন হঠাৎই জুহি ফোন করেন আমিরকে। “সে জানত আমি ফোন ধরব না, তবুও করেছিল। সে বলল, ‘তোমার সঙ্গে দেখা করতে চাই, কথা বলতে চাই।’ আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরেও সে বন্ধুত্বটা টিকিয়ে রেখেছিল—এটা আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।”