হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চলমান, সুপারিশ ১১ হাজার ছাড়িয়েছে

বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫ ১:৩২ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার নিয়ে বিভিন্ন দলের অভিযোগ "বস্তুনিষ্ঠ নয়" বলে মন্তব্য করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের মামলা প্রত্যাহারে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি নিয়মিতভাবে কাজ করছে এবং এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৪৮টি মামলার প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর গঠিত এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইন উপদেষ্টা। কমিটির সদস্যরা নিয়মিত সভায় বসে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা চিহ্নিত করে জেলা পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে সুপারিশ প্রদান করছে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও তার ফেসবুক পোস্টে এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেন।
মামলা তালিকা জমা দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত
বিএনপি চলতি বছরের ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলা এবং জামায়াতে ইসলামী ২৭ এপ্রিল এক হাজার ২০০টি মামলার তালিকা জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে অর্ধেক মামলারই ইতোমধ্যে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে এজাহার ও অভিযোগপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ার কারণে কিছু মামলার প্রত্যাহার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশও ২০ মে ৪৪টি মামলার একটি তালিকা জমা দিয়েছে।
দুই স্তরের কমিটি কাজ করছে
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা চিহ্নিত করে প্রত্যাহারের জন্য সরকার দুই স্তরের কমিটি গঠন করেছে। একটি জেলা পর্যায়ের এবং অন্যটি মন্ত্রণালয় পর্যায়ের।
জেলা কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং এতে সদস্য হিসেবে আছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার (বা মহানগরে ডেপুটি কমিশনার), এবং পাবলিক প্রসিকিউটর।
অন্যদিকে, মন্ত্রণালয় পর্যায়ের ছয় সদস্যের কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন আইন উপদেষ্টা। সদস্যদের মধ্যে আছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা), যুগ্মসচিব (আইন), এবং আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি। এই কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখার একজন উপসচিব বা সমপর্যায়ের কর্মকর্তা।
আইন মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে, মামলা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে এজাহার ও অভিযোগপত্রসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি জমা দিতে।
১৪৬ বার পড়া হয়েছে