দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান

বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫ ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৮ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এর ফলে সব দুর্নীতির মামলায় দণ্ড ও সাজামুক্ত হলেন তারেক রহমান।
২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজধানীর কাফরুল থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। অভিযোগ ছিল, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন তারা। মামলার আরেক আসামি ছিলেন তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু।
২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত এই মামলার রায়ে তারেক রহমানকে দু’টি ধারায় মোট নয় বছরের কারাদণ্ড ও তিন কোটি টাকা জরিমানা করেন। একই রায়ে ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তবে আপিল শুনানিতে আদালতে প্রমাণিত হয় যে, যেসব সম্পত্তির কথা মামলায় উল্লেখ ছিল, সেগুলো জ্ঞাত আয়বহির্ভূত নয় এবং কোনোটিই অসাধু উপায়ে অর্জিত নয়। এমনকি কোনো সম্পত্তিই দেশের বাইরে নয়। শুনানিতে তারেক রহমানের পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান জানান, সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাড়িটি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল এবং গুলশানের সম্পত্তিটিও রাষ্ট্রীয়ভাবে বরাদ্দপ্রাপ্ত।
ডা. জুবাইদা রহমান ১৪ মে হাইকোর্টে তার সাজা বাতিল চেয়ে আপিল করলে তা শুনানির জন্য গৃহীত হয় এবং তাকে জামিন দেওয়া হয়। এর আগে ১৩ মে হাইকোর্ট ৫৮৭ দিন বিলম্বে আপিল গ্রহণের আবেদন মঞ্জুর করে।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান ডা. জুবাইদা রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ২০২৪ সালের ৬ মে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।
দুদকের পক্ষে মামলায় শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আব্দুল করিম। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
১৩৪ বার পড়া হয়েছে