নওগাঁয় বেতনভাতার দাবিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিক্ষকদের মানববন্ধন

রোববার (২৫ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেন আন্দোলনকারীরা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতাধীন দারুল আরকাম প্রকল্পটি ২০২০ সালে পৃথকভাবে যাত্রা শুরু করে। প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছিল। তবে মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুমোদন মেলেনি। ফলে ২০২৫ সালের শুরু থেকে প্রকল্পভুক্ত ৩ হাজার ৩০ জন শিক্ষক এবং ১ হাজার ১০ জন অফিস সহায়ক কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষক ও কর্মচারীরা বলেন, প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্যায় অবিলম্বে অনুমোদনের পাশাপাশি পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন এবং ঈদুল আযহার আগেই বোনাস প্রদান করতে হবে। একই সঙ্গে প্রকল্পে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়োগ বহাল রাখার দাবি জানান তারা। এছাড়া ২০২০ সালে কর্মরতদের এক বছরের বকেয়া বেতন ও বোনাসও পরিশোধের দাবি জানানো হয়।

শিক্ষক রুহুল আমিন, আব্দুল আজিজ ও মিজানুর রহমান জানান, “করোনাকালে আমরা সরকারের নির্দেশনায় জানাজা, দাফনসহ নানা মানবিক সেবায় যুক্ত ছিলাম। অথচ আজ আমরা নিজেরাই মানবেতর জীবনযাপন করছি।”

আরেক শিক্ষক শামসুল আলম বলেন, “পাঁচ মাস ধরে কোনো বেতন পাচ্ছি না। ঈদের আগে সমস্যা সমাধান না হলে কুরবানির ঈদ আমাদের জন্য আনন্দ নয়, বরং বেদনার উৎসবে পরিণত হবে।”

আন্দোলনকারীরা জানান, দেশের ১ হাজার ১০টি মাদরাসায় এই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ইসলামী ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পাচ্ছে। প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।

মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্পটি অব্যাহত রাখা এবং দ্রুত বেতন-বোনাস পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা।