সাংবাদিকদের জন্য শিগগিরই অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বিতরণ শুরু: প্রেস সচিব

বৃহস্পতিবার , ১৫ মে, ২০২৫ ১০:১২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সাংবাদিকদের জন্য অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড খুব শিগগিরই বিতরণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এই তথ্য জানান।
শফিকুল আলম বলেন, “আগে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ভুল হয়েছিল। ১৬৭ জনের কার্ড বাতিল করা হয়েছিল, যেটি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না। বর্তমানে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে, এবং নতুন নীতিমালাও তৈরি হয়েছে। এই নীতিমালা আগের তুলনায় অনেক সহজ ও সাংবাদিকবান্ধব। এখন থেকে আর সরকারবন্দনা বাধ্যতামূলক নয়।”
তিনি জানান, অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড এখন থেকে শুধুমাত্র পেশাদার সাংবাদিকদের দেওয়া হবে। এমপি বা রাজনৈতিক দলের কোনো সদস্য এই কার্ডের আওতায় থাকবেন না। পাশাপাশি কার্ড বিতরণে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “সরকার কোনো সাংবাদিককে চাকরি হারাতে বাধ্য করেনি। মালিকপক্ষ তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে এমনটা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ প্রয়োগ করা হয়নি।”
এ সময় তিনি ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “এই মামলার জন্য সরকার দায়ী নয়। তবে যদি প্রমাণ হয় যে কাউকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে নতুন অর্থনৈতিক মডেলের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি। শফিকুল আলম বলেন, “বর্তমানে অধিকাংশ সাংবাদিক তুলনামূলক কম বেতন পান। কপিরাইট সংরক্ষণ ও সাংবাদিকদের বেতন সুরক্ষায় একটি নতুন অর্থনৈতিক কাঠামোর প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়েও ভাবতে হবে। প্রতিটি গণমাধ্যমের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া গাইড থাকা উচিত। একজন সাংবাদিক ব্যক্তি হিসেবে যে মত বা বিশ্বাসই পোষণ করুন না কেন, তার পরিচয় হওয়া উচিত সাংবাদিক হিসেবে। ভুল বা বিভ্রান্তিকর মতামত জনবিশ্বাস নষ্ট করতে পারে।”
শেষে প্রেস সচিব বলেন, “১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনের সময় যে নেতিবাচক মানসিকতা তৈরি হয়েছিল, তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সত্যিকারের সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠায় যারা ভুল করেছেন, তাদের স্বীকার করা উচিত। নয়তো অন্তত নিজের মধ্যে উপলব্ধি করে নতুনভাবে পথচলা শুরু করা জরুরি। সরকারও চায়, সাংবাদিকদের ওপর মানুষের হারানো আস্থা ফিরে আসুক।”
১১৫ বার পড়া হয়েছে