নিজ জেলা চট্টগ্রামে সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

মঙ্গলবারের এই ঐতিহাসিক সফর ঘিরে বন্দরনগরীতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সফরকালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা দিয়ে যিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, সেই ড. ইউনূস এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ববৃহৎ সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন। একই সঙ্গে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করবে দারিদ্র্য বিমোচন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ।

সফরের অংশ হিসেবে ড. ইউনূস হাটহাজারীর শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে তার পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়া তিনি ঐতিহাসিক জোবরা গ্রামেও যাবেন, যেখানে ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রথম বাস্তব প্রয়োগ ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা। সভায় বন্দর কার্যক্রম, বে টার্মিনাল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে।

পরবর্তীতে তিনি সার্কিট হাউসে কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন। এছাড়া চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প এবং অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়ক উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন।

এদিন তিনি চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জন্য বরাদ্দকৃত ২৩ একর জমির দলিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন।

দুপুরে ড. ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাবেন এবং বিকেলে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিতব্য সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। ২০১১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থীকে সনদ এবং ২২ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

চবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, উপাচার্যের নেতৃত্বে সমাবর্তনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন হতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রায় এক লাখ মানুষের উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জানান, ‘প্রধান উপদেষ্টার নিজ জেলায় এই সফর স্মরণীয় করে রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’