সর্বশেষ

অর্থনীতি

সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন বাধ্যবাধকতা শিথিল হতে পারে

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ৮ মে, ২০২৫ ৭:২০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র (পিএসআর) দাখিলের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এ বিষয়ে পরিবর্তন আনার চিন্তা করা হচ্ছে।

বর্তমানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সঞ্চয়পত্র কেনায় পিএসআর জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এতে সীমিত ও মধ্যম আয়ের অনেক মানুষ, যাঁদের নিয়মিত করযোগ্য আয় নেই, ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে যারা মূলত সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর নির্ভরশীল, তারাও বাধ্য হয়ে শূন্য রিটার্ন দাখিল করেন শুধুমাত্র এই বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তৃতায় এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারেন। প্রস্তাব অনুযায়ী, নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) সনদ দেখালেই চলবে, রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র প্রয়োজন হবে না।

বর্তমানে দেশে ৪৫টির বেশি সরকারি-বেসরকারি সেবায় পিএসআর প্রয়োজন হয়। এনবিআরের উদ্যোগে করদাতা সংখ্যা বাড়লেও, রিটার্ন দাখিলকারীদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই দেন শূন্য রিটার্ন। চলতি বছর অনলাইনে ১৬ লাখ রিটার্ন জমা পড়ে, যার বেশিরভাগই রিটার্ন দেওয়া হয়েছে কেবল বাধ্যবাধকতা মেটানোর জন্য।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে—পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্র। এর মধ্যে নারী ক্রেতাদের জন্য নির্ধারিত পরিবার সঞ্চয়পত্রের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

জাতীয় সংসদ ভাঙার পরিপ্রেক্ষিতে এবারের বাজেট ঘোষণা হবে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া একটি টেলিভিশন ভাষণের মাধ্যমে।

১১৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
অর্থনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন