সর্বশেষ

সারাদেশ

ঐতিহ্যের ৬৪ বছর: উৎসবমুখর আয়োজনে পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

এম এস রহমান, পাবনা
এম এস রহমান, পাবনা

বৃহস্পতিবার , ১ মে, ২০২৫ ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
উত্তরের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক সংগঠন পাবনা প্রেসক্লাব তাদের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৬৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করেছে প্রতিষ্ঠা দিবস।

বৃহস্পতিবার (১ মে) ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই উৎসবমুখর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতা, ঐক্য, আদর্শ ও জাতীয় আন্দোলনের গৌরবময় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন সুধীজনরা।

দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে ছিল বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, শুভেচ্ছা বিনিময়, সম্মাননা প্রদান ও কেক কাটা। সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা সাংবাদিকতার প্রতীকী উপকরণ এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্ল্যাকার্ড হাতে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

ভিআইপি মিলনায়তনে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেল। স্বাগত বক্তব্য দেন ক্লাব সম্পাদক জহুরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মফিজুল ইসলাম। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন পাবিপ্রবি উপাচার্য ড. এস এম আব্দুল আওয়াল, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মশিউর রহমান মণ্ডল, এনএসআই’র উপ-পরিচালক তৌফিক ইকবাল, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষগণ, সমাজসেবক মাহাতাব উদ্দিন বিশ্বাস, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি-সম্পাদকবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্টজনেরা।

শুভেচ্ছা পর্ব শেষে ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। প্রয়াত সদস্যদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারক। পরে অতিথিবৃন্দ কেক কেটে অনুষ্ঠান উদযাপন করেন এবং সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।

আগামীকাল শুক্রবার (২ মে) মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে।

১৯৬১ সালের ১ মে প্রতিষ্ঠিত পাবনা প্রেসক্লাব ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ ক্লাবের ৯ জন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ৩ জন একুশে পদকপ্রাপ্ত। দীর্ঘ ৬৪ বছরে সাংবাদিকতার ঐক্য, আদর্শ ও ঐতিহ্যকে ধরে রেখে দেশের মধ্যে এক অখণ্ড ও ঐক্যবদ্ধ প্রেসক্লাব হিসেবে আজও দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে পাবনা প্রেসক্লাব।

তবে এতসব কৃতিত্ব সত্ত্বেও ক্লাবটির এখনো নিজস্ব ভবন নেই। পরিত্যক্ত সম্পত্তির ওপর গড়ে উঠা এ ক্লাব ভবনটি শারীরিকভাবে শীর্ণ হলেও মর্যাদা ও আভিজাত্যে অটুট রয়েছে বলে মনে করেন প্রবীণ সাংবাদিকরা। অনেকেই একে মফস্বল সাংবাদিকতার "বাতিঘর" হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

১০৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন