মোবাইল বিস্ফোরণে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রীর, ঝুঁকি আছে ল্যাপটপেও

বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ ৮:১৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
নীলফামারীতে মোবাইল ফোন বিস্ফোরণে তমা রানী গৌরী (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের দুহুলি ধারারপার গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তমা ওই গ্রামের নৃপেন্দ্র নাথের মেয়ে এবং চাঁদেরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরী।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় তমা মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন এবং সেটি চার্জে সংযুক্ত ছিল। হঠাৎ করে ফোনটি বিস্ফোরিত হলে তার মুখমণ্ডল ও চুলে আগুন ধরে যায়। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, “মরদেহ হাসপাতালেই রয়েছে, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের আবেদন করেছে। বিস্ফোরিত মোবাইলটি আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।”
এ ঘটনায় সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, মোবাইল ফোন চার্জে থাকা অবস্থায় কথা বলার ঝুঁকি সম্পর্কে অনেকেই এখনও সচেতন নন। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চার্জের সময় মোবাইলে কথা বললে ব্যাটারির অতিরিক্ত উত্তাপ সৃষ্টি হয়, যা বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ায়। একটি মোবাইল কোম্পানির কোয়ালিটি কন্ট্রোলার কাজী মাজহারুল ইসলাম জানান, নিম্নমানের ব্যাটারি, কন্ট্রোল সার্কিটের ত্রুটি এবং শর্টসার্কিট—এই তিনটি প্রধান কারণেই মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর জোহা বলেন, শুধু মোবাইল ফোন নয়, একই ধরনের ঝুঁকি ল্যাপটপের ক্ষেত্রেও রয়েছে। চার্জে রেখে ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত তাপ সৃষ্টির কারণে পুরো ডিভাইসই বিস্ফোরকের মতো আচরণ করতে পারে।
তিনি বলেন, “বিশেষ করে চার্জে থাকা অবস্থায় ফোনে কথা বলার সময় মুখমণ্ডলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়, যা প্রাণঘাতীও হতে পারে।”
বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে চার্জে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচারের তাগিদ দিয়েছেন।
১১৬ বার পড়া হয়েছে