কবিতা
শক্তি চট্টোপাধ্যায়: বাংলা কবিতার এক বোহেমিয়ান কিংবদন্তি
বাংলা কবিতার ইতিহাসে বিশ শতকের শেষার্ধকে যদি ‘জীবনানন্দ-পরবর্তী পর্ব’ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়, তবে সেই পর্বের গগনে শক্তি চট্টোপাধ্যায় এক ধ্রুবতারা, যাঁর দীপ্তি কেবল নিজস্ব নয়, বরং তা আলোকপাত করেছে পরবর্তী একাধিক কাব্যপ্রজন্মের উপর।
বৃথাই পণ্ডশ্রম
আসিয়া ভবে দেখিয়া স্বপন
বানাইলি বাড়ি মনের মতন
আজরাঈল আসিয়া ধরবে রে যখন
চলবে না তোর ঐ টেলিফোন
বাঁইচা থাকার কারো গ্যারান্টি নাই
একদিন তোর হইব রে মরণ।
বোধোদয়
স্বর্ণ পুড়ে খাঁটি হয়
আখ পিষে রস,
যাতনা সয়েই প্রেমকে
করতে হয় বশ।
জীবনানন্দ দাশ: আধুনিক বাংলা কবিতার অন্তর্নিহিত যাদুকর ও প্রকৃতির চিরন্তন গায়ক
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে জীবনানন্দ দাশ এক অদ্বিতীয় পরিচয় নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন, যিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছায়ামুক্ত হয়ে আধুনিক বাংলা কবিতার নতুন পথ রচনা করে গেছেন।
আব্দুল গনি হাজারীর কবিতায় ব্যক্তি ও সমাজচৈতন্য
আবদুল গনি হাজারী দেশপ্রেমের সূত্রধর। স্বদেশী চেতনা তাঁর কবিতার গতিভঙ্গিতে নতুন নতুন প্রবর্তনা পেয়ে যায়। স্বদেশ, স্বদেশের মুক্তিচৈতন্য, স্বদেশের মাটি ও মানুষ তাঁর কবিতার প্রকৃত উপপাদ্য।
আহসান হাবীবঃ কবিতার বাঁশিওয়ালা
কেবল আত্মরতি নয়, সমাজচেতনার যুগধর্মই আহসান হাবীবের কবিতার বৈশিষ্ট্য। তাঁর কবিতায় আছে নগরযন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ নৈঃসঙ্গ্য এবং জনবিচ্ছিন্নতায় প্রকাশ।